‘অবিলম্বে শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে’
Share on:
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেছেন, শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকার শ্রম আইন করেছে। কিন্তু শ্রম আইনে শ্রমিকদের কাঙ্ক্ষিত অধিকার নিশ্চিত করা হয়নি। অবিলম্বে শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার (৬ অক্টোবর) ফেডারেশনের বরিশাল অঞ্চলের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অঞ্চল পরিচালক কবির আহমেদের সভাপতিত্বে ও অঞ্চল সহকারী পরিচালক মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর সভাপতি মাস্টার মিজানুর রহমান, বরিশাল জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন ইয়ামিন, ভোলা জেলা সভাপতি ইসমাইল হোসেন মনির, পিরোজপুর জেলা সভাপতি সিদ্দিকুল ইসলাম, বরগুনা জেলা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও বরিশাল মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, যারা শ্রমিক ময়দানে কাজ করে তাদেরকে শ্রম আইন সম্পর্কে বিশদ ধারণা রাখতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য নিয়মিত মালিকদের দরকষাকষি করতে হয়। শ্রম আইন জানলে দরকষাকষি সহজ হবে। শ্রমিকরা শ্রম আইনের বিভিন্ন ধারা উপধারা না জানার কারণে মালিকরা কাগুজ-কলমের প্যাঁচে ফেলে শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেয়। এ ধারার অবসানের জন্য শ্রমিক কল্যাণসহ বিভিন্ন দেশী ও আন্তর্জাতিক সংস্থা যে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে তাতে অংশগ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, শ্রমিকরা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনশক্তি। তাদের পরিশ্রমে যেমনিভাবে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে ঠিক তেমনিভাবে তাদের ভোটে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা নির্ধারিত হয়। সহজ-সরল এই মানুষদের ভুল বুঝিয়ে এক শ্রেণির মানুষরা বারংবার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছে। নিকট অতীতে আমরা দেখেছি যারা শ্রমিকদের ভোটে ক্ষমতার মসনদ পায় তারাই শ্রমিকদের অধিকারের কথা বেমালুম ভুলে যায়। ভুলে যায় শ্রমিক শ্রেণির অবদানের কথা। আগামী দিনে শ্রমিকরা যেনো আর ভুল পথে পরিচালিত না হতে পারে সেজন্য তাদেরকে সত্যের দাওয়াত দিতে হবে। সত্য ও সুন্দরের প্ল্যাটফরম ইসলামের পতাকাতলে সমবেত করতে হবে।
অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, শ্রমিকদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করেছে ইসলাম। ইসলাম মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করেছে কর্মের ভিত্তিতে। অর্থ-সম্পদের ভিত্তিতে নয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় রাসূল সা: শ্রমিকদের সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন। তিনি শ্রমিকের জখম হাতে চুমু খেয়েছেন। শ্রমিককে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন। শ্রমিকের ঘাম মুছে যাওয়ার পূর্বে তার মজুরি পরিশোধ করতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। আজকে যারা শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান। শ্রমিকের সাম্য ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে চান তাদের রাসূল সা:-এর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, সমাজতন্ত্র দিয়ে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা পৃথিবীর কোথাও সম্ভব হয়নি। আর হবেও না। এক মানুষ রচিত বিধি-বিধান অপর মানুষের কল্যাণকামী হতে পারে না। এই কথা আজ দিবালোকের মত স্পষ্ট। এতদ্বসত্ত্বেও কিছু মানুষ শ্রমিকদের সমাজতন্ত্র নামক বাতিল আদর্শের দিকে টানে। আমরা শ্রমিকদের একমাত্র আদর্শিক পথ ইসলামের দিকে আহ্বান জানাই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ইসলাম ছাড়া শ্রমিকের সত্যিকারের মুক্তি অসম্ভব।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি