কোনো বিশৃঙ্খলা বিএনপি সহ্য করবে না: মির্জা ফখরুল
Share on:
কোনো বিশৃঙ্খলা বিএনপি সহ্য করবে না হুঁশিয়ার করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, এখন জনগনকে নিজের দায়িত্ব নিয়ে অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করতে হবে। কেউ যদি সন্ত্রাস করতে চায়, চাঁদাবাজি বা অন্য কিছু করে বা ক্ষতি করতে চায় সেটা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে রুখে দিতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, সর্বক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা যারা ভন্ডুল করবে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে এবং ভন্ডুলকারীদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এব্যাপারে আমরা কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সহ্য করব না। বিএনপি সব অন্যায় ও সন্ত্রাসকে প্রতিহত করবে। এজন্য সব দল ও অঙ্গসংগঠন এক সঙ্গে কাজ করবে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঠিক করতে নয়াপল্টনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে। আজকে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এজন্য ছাত্র-জনতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আমাদের সামনে কিন্তু বড় সংগ্রাম, বড় লড়াই। সেই লড়াইটা হলো এই বিপ্লবের বিজয়কে সুসংহত করা। এই বিজয়কে যদি আমরা সুসংহত করতে না পারি, আবার কিন্তু নব্য ফ্যাসিবাদ এসে হাজির হবে। এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
বিএনপির দীর্ঘ যাত্রাপথে দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের বিশাল ব্যাপ্তি ও বিস্তারের কথা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জমান মিল্লাত, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং।
অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ছিলেন- ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের সাইফুল আলম নিরব, দক্ষিনের তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের আব্দুল মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, রাজিব আহসান, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, উলামা দলের মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জু, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।
এফএইচ