মাহে রমজানে আত্মশুদ্ধি ও তাজকিয়া অর্জন করতে হবে : আব্দুর রহমান মূসা
Share on:
পবিত্র মাহে রমযানের শিক্ষাকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে আত্মগঠন, তাক্বওয়া অর্জন এবং ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ ) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরখান থানা পশ্চিম আয়োজিত সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে এক সুধী সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে রমযান হলো সর্বোত্তম মাস। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রমযান মাস হলো সেই মাস, যে মাসে কুরআন নাজিল করা হয়েছে। যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ অনুসারীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশক; আর ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য বিধানকারী।
কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটি পাবে, সে রোজা রাখবে....। (সূরা আল বাকারাহ, আয়াত-১৮৫)। হাদিসে রাসূল (সা.)-এ বলা হয়েছে, রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমযান মাসে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখে এবং সওয়াব লাভের আশায় রোজা রাখে, আল্লাহ তার সব গোনাহ মাফ করে দেন।’ ( সহীহ আল বোখারি, হাদিস-২০১৪)।
তিনি আরও বলেন, মূলত এই মহিমান্বিত মাস দোয়া কবুল ও নাযাতের মাস। তাই এই মোবারক মাসে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি চাইতে হবে। মানুষ যাতে তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি লাভ করতে পারে এজন্যই সিয়ামকে আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় করে দেয়া হয়েছে। কালামে হাকীমে বলা হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর।
যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সূরা আল বাকারা, আয়ত-১৮৩)। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত মাহে রমযানের হক যথাযথ ভাবে আদায় করে আত্মশুদ্ধি ও তাযকিয়া অর্জনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন করা। তিনি মাহে রহমানের প্রকৃত শিক্ষাকে বাস্তবজীবনে কাজে লাগিয়ে শান্তির সমাজ বিনির্মাণে সকলকে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।
ক্রিয়েটিভ সোসাইটি
ক্রিয়েটিভ সোসাইটি, আদাবরের উদ্দ্যোগে সমাজের বিশিষ্টজনদের নিয়ে প্রিন্স চাইনিজ রেস্তোরাঁয় ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুর রহমান মূসা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জিয়াউল হাসান এবং প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
মোহাম্মদপুর
মোহাম্মদপুর পশ্চিমের গার্ডেন সিটি ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জোন পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন থানা আমীর ডা. শফিউর রহমান। আরো বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারী মাসুদুজজামান। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
মোহাম্মদপুর পূর্ব থানার উদ্যোগে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে রমাদান, যাকাত শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা সভাপতি মোস্তাক আহমদ মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মাওলানা মুহিববুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী উত্তরের সহ-সভাপতি ও জোন পরিচালক মো. মিজানুল হক। ইফতার মাহফিলে ৩৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
থানা আমীর হাসনাইন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য এবং উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মু. জামাল উদ্দিন। উপস্থিত মহানগরী উত্তরের তালিমুল কোরআন ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মু. বোরহান উদ্দিন দেওয়ান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য উত্তরখান পূর্ব থানার আমির মু. ইসরাইল হোসেন, উত্তরখান থানা পশ্চিমের সেক্রেটারী অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ, আব্দুর রহমান, মু. কুরবান আলী ও আওলাদ হোসাইন প্রমূখ।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি//এমএইচ