থাইল্যান্ডে সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা, মে মাসে নির্বাচন
Share on:
থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চ্যান-ও-চা সোমবার (২০ মার্চ) সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। আগামী মে মাসে ভোট হবে দেশটিতে।
২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুথ চ্যান। এক দশকের বেশি নির্বাসনে থাকা সত্ত্বেও প্রায়ুথ চ্যান-ও-চার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সরকার থাকসিন সিনাওয়াত্রার কন্যা পায়তংতার্ন। প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৩৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিক। সেনা অভ্যুত্থানে আট বছর আগে তার বাবার নেতৃত্বাধীন ফেউ থাই পার্টির সরকারের পতন হয়। সেই দলটিকে আবার ক্ষমতায় আনাই তার লক্ষ্য।
সোমবার প্রকাশিত সরকারি রয়্যাল গেজেটে একটি বিবৃতিতে সংসদকে বিলুপ্তির ঘোষণা করা হয় এবং নির্বাচন কমিশন পরবর্তীতে ভোটের তারিখ নিশ্চিত করবে বলে জানানো হয়। তবে ৭ মে কিংবা ১৪ মে ভোটের আয়োজনের সম্ভাব্য দিন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দ্বিতীয় নির্বাচন এটি। ২০২০ সালে ব্যাংককে যুব-নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভে দেশটি কেঁপে ওঠে। সেই ঘটনার জেরে এবার ভোট হচ্ছে দেশটিতে।
অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে দেশটিতে। ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় ও মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের বিষয়গুলো আলোচনা হচ্ছে প্রচার-প্রচারণায়।
৬৮ বছর বয়সী প্রয়ুথ, যিনি ২০১৯ সালে একটি বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্যদিয়ে তার শাসনব্যবস্থা আরও পাকাপোক্ত করেছেন।
কিন্তু ভোটাররা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকে দেখতে চান তা রোববার প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পরিচালিত ২ হাজার জন লোকের একই জরিপে, প্রায় ৫০ শতাংশ বলেছেন তারা ফেউ থাইকে ভোট দেবেন। সমর্থিতদের মধ্যে প্রায় ১২ শতাংশ প্রয়ুথের ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টির সদস্য।
এমআই