tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
সারাদেশ প্রকাশনার সময়: ৩০ জানুয়ারী ২০২৪, ১০:৩৪ এএম

সূর্যের দেখা মিললেও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড়


winter11-20240130083022

ঘন কুয়াশার দাপট ভেদ করে ভোরে সূর্যের দেখা মিললেও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দাপটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উত্তরের পঞ্চগড়ের জনজীবন। এক সপ্তাহ ধরে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এর মধ্যে দুইদিন তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কেঁপেছে এ অঞ্চলের মানুষ।


মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল একই সময়ে রেকর্ড হয়েছিল ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে এ জেলায় মৃদু, মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ অঞ্চলে।

সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিনদিন ধরে ভোরেই কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলছে সূর্যের। রোদ ঝলমলে সকাল হলেও হিম বাতাসে ঝরে শীতের পারদ। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন গৃহপালিত ও বন্য প্রাণীরাও।

লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়াজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষদের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।

এদিকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ থাকলে সকাল ৭টা থেকেই স্কুল, কোচিং, প্রাইভেটে যেতে দেখা গেছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের।

শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। কামাই-রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে শীতজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় টাকার অভাবে ঔষুধপত্র কিনতে পারছেন না অনেকে।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গতকালের চেয়ে আজ সামান্যতম তাপমাত্রা বেড়েছে। এখন তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ অঞ্চলে।

এনএইচ