টাইগারদের ব্যাটিংয়ের দিনে সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ
Share on:
মঙ্গানুই টেস্টের তৃতীয় দিনেও দুরন্ত বাংলাদেশ টাইগাররা। ব্যাট হাতে মুমিনুলরা দেখিয়েছেন তাদের দাপট। লিড নিয়েছে ৭৩ রানে। নান্দনিক ব্যাটিংয়ের ঝলমলে দিনেও অবশ্য আক্ষেপ রয়েছে টাইগার শিবিরে।
মঙ্গানুই টেস্টের তৃতীয় দিনেও দুরন্ত বাংলাদেশ টাইগাররা। ব্যাট হাতে মুমিনুলরা দেখিয়েছেন তাদের দাপট। লিড নিয়েছে ৭৩ রানে। নান্দনিক ব্যাটিংয়ের ঝলমলে দিনেও অবশ্য আক্ষেপ রয়েছে টাইগার শিবিরে।
আর তা হলো সেঞ্চুরি মিস। একটি সেঞ্চুরি হলেও হতে পারত। কিন্তু আসেনি। হতাশ করেছেন একে একে মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক ও লিটন দাস।
আজ সোমবার ( ৩ জানুয়ারি) প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪০১ রান। ক্রিজে অপরাজিত আছেন ইয়াসির আলী ও মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড করেছিল ৩২৮ রান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের লিড ৭৩ রানে।
আগের দিনে ২ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে খেলতে নামে বাংলাদেশ। আগের দিনে ৭০ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদুল হাসান জয় অবশ্য বিদায় নেন ৭৮ রানে। দিনের প্রথম উইকেট পতন সেটি। ওয়াগনারের বলে ক্যাচ দেন নিকোলসের হাতে। ২২৮ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান মাত্র সাতটি চার।
দলীয় ২০৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। তিনিও বেশ ধৈযের সাথে খেলছিলেন। কিন্তু বোল্টের বল বুঝতে পারেননি। হয়ে যান বোল্ড। ৫৩ বলে এক চারে মুশফিক ফেরেন ১২ রান করে।
এরপর মুমিনুল আর লিটনের দারুণ পথচলা। কিউই বোলারদের চোখে চোখ রেখে রান তুলতে থাকেন দুজন। মুমিনুল পান টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫তম, লিটন পান ১১তম ফিফটির দেখা।
মুমিনুল অবশ্য শুরুতেই পান ভাগ্যের দেখা। ব্যক্তিগত ৯ রানেই তিনি আউট হয়ে যেতে পারতেন। ওয়াগনারের বলে তিনি হয়েছিল ক্যাচ আউট। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের রিভিউতে ধরা পড়ে বলটি ছিল নো। বেঁচে যান মুমিনুল। নতুন জীবন ভালোমতো কাজে লাগান তিনি।
দিনের প্রথম ফিফটি পান মুমিনুলই। তা পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে। পঞ্চাশ স্পর্শ করতে তাকে খেলতে হয়েছে ১৪৭ বল। যার মধ্যে ছিল আটটি চারের মার।
টেস্ট ক্যারিয়ারে মুমিনুলের এটি ১৫তম ফিফটি। লিটন শুরুতে খেলেছেন ওয়ানডে স্টাইলে। তারপর একটু দেখেশুনে। ৯৩ বলে তিনি পূর্ণ করেন ফিফটি। এর মধ্যে ছিল ৬টি চার। টেস্ট ক্যারিয়ারে লিটনের এটি ১১তম ফিফটি।
পঞ্চম উইকেটেই লিড এনে দেয় বাংলাদেশকে। ছাড়িয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। দুজনের হাটতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু বিধিবাম। দুজনই আউট হন আশির ঘরে।
পঞ্চম উইকেটে দুজনে যোগ করেন ১৫৮ রান। বল খরচ ৩১৭। দলীয় ৩৬১ রানে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। বোল্টের বলে হয়ে যান এলবিডব্লিউ। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার তোলেন আঙুল। ২৪৪ বলে তিনি করেন ৮৮ রান। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চারের মার।
এরপর লিটনের সঙ্গী হন তরুণ ইয়াসির আলী। মুমিনুল যখন আউট হন, লিটনের রান তখন ৭৭। সেখান থেকে মাত্র ১১ রান যোগ করতেই আউট তিনিও। বোল্টের বলে ক্যাচ দেন কিপার ব্লান্ডেলের গ্লাভসে। ১৭৭ বলে ৮৬ রানের ইনিংসে লিটন হাঁকান ১০টি চার।
দিনের বাকি সময়টা অবশ্য ধৈযের সাথে কাটিয়ে দিয়েছেন মিরাজ ও ইয়াসির। ৩৫ বলে ১১ রানে ইয়াসির ও ৩৮ বলে ২০ রানে মিরাজ আছেন অপরাজিত। বল হাতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও নেইল ওয়াগনার।
এইচএন