এশিয়া কাপ : শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানের জয়
Share on:
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতের কাছে হারের পর শেষ চারের ম্যাচে এসে সেই হারের বদলা নিল বাবর আজমের দল। দুবাইয়ের মাঠে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার পথে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
ম্যাচের প্রথমে ভারত ব্যাট করে ১৮১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাবরকে হারিয়ে বসে পাকিস্তান। তবে সাময়িক বিপর্যয় সামলে নেন ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।
এরপর ফখর ১৫ রান করে ফিরে গেলে রিজওয়ানকে সাথে নিয়ে মোহাম্মদ নেওয়াজ দ্রতু টর্নেডো এক ইনিংস খেলেন। ২০ বলে ৪২ রান করে নেওয়াজ ফিরে গেলে দায়িত্ব পড়ে রিজওয়ানের কাঁধে।
তবে ব্যক্তিগত ৭১ রান করে রিজওয়ান ফিরে গেলে জয়ের আশা ক্ষীণ হয় খানিকটা পাকিস্তানের জন্য। তবে সব শঙ্কাকে উড়িয়ে আসিফ আলি ও খুশদিল শাহর ছোট ক্যামিওতে ১ বল বাকি থাকতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
এর আগে দিনের শুরুতে ভারত যেভাবে শুরু করেছিল তাদের ইনিংস, তাতে ২০০ রান তো বটেই, ২২০-২২৫ কেও মনে হচ্ছিল খুব সম্ভব। তবে এরপরই পাকিস্তান লাগাম টেনে ধরে। বিরাট কোহলি অবশ্য একপাশ আগলে রেখেছিলেন, তাতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে মহারণের দ্বিতীয় কিস্তিতে ১৮১ রানের লড়াকু এক পুঁজি পেয়ে গেছে ভারত।
টস জিতে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ভারতকে। ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত শুরুটা ভালোই করেছিল। ৫ ওভার শেষেই তুলে ফেলে ৫৪ রান।
তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে রোহিত শর্মাকে হারায় দলটি। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন কোহলি। এসেই ফিরতে দেখলেন রাহুলকে। দুই ওভারে দুই উইকেট খুইয়ে খানিকটা চাপেই পড়ে যায় ভারত।
এরপর সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ২৯ রানের জুটি গড়ে সে চাপটা খানিকটা সামাল দেন কোহলি। তার বিদায়ের পর ঋষভ পান্তের সঙ্গে ৩৫ রানের আরেকটা ছোট্ট জুটি গড়েন কোহলি। দলীয় ১২৬ রানে ফেরেন পান্ত। এর একটু পরে হার্দিক পান্ডিয়াকেও ফিরে যেতে দেখেছেন কোহলি।
তবে এক পাশ আগলে রেখে তিনিই ভারতকে দেখিয়েছেন লড়াকু রানের দিশা। এরপর ১৮তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ হাসনাইনকে কাউ কর্নার দিয়ে ছক্কা মেরে পূরণ করেন ফিফটি।
ওপাশে অবশ্য উইকেট যাচ্ছিল নিয়মিত বিরতিতেই। দীপক হুডাও ফেরেন ১৬ রান করে। শেষ ওভারে কোহলির ইনিংস শেষ হয় রানআউটের কাটায়। ফেরার আগে ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ দিকে রবি বিষ্ণোইয়ের দুই বলে দুই চারে করা ৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৮১ রানের পুঁজি পেয়ে যায় ভারত।
এইচএন