পর্তুগালে গাছে পানি দেওয়া নিষিদ্ধ!
Share on:
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের মতো অভূতপূর্ব খরায় পুড়ছে পর্তুগাল। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৩টি পৌরসভায় বৃহত্তম ভোক্তাদের জন্য পানির দাম বাড়াতে এবং রাস্তা ধোয়া ও গাছে পানি দেওয়া বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
পর্তুগালের জাতীয় আবহাওয়া ইনস্টিটিউট (আইপিএমএ) জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে দেশটির গোটা মূল ভূখণ্ডে তীব্র খরা চলছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) পর্তুগিজ পরিবেশমন্ত্রী দুয়ার্তে কর্ডেইরো বলেছেন, মূল ভূখণ্ডের ৬১টি বাঁধের মধ্যে ১০টির অবস্থা সংকটজনক। এসব বাঁধে ধারণক্ষমতার ২০ শতাংশ নিচে নেমে গেছে পানির পরিমাণ।
প্রায় শুকিয়ে যাওয়া এসব বাঁধ থেকে পর্তুগালের উত্তর ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ৪০টি এবং পর্যটননির্ভর আলগারভের তিনটি পৌরসভায় পানি সরবরাহ করা হয়। কর্ডেইরো বলেছেন, যদিও সারা দেশের জলাধারে দুই বছরের চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত পানি রয়েছে, তবে সংকটজনক অবস্থায় থাকা ১০টিতে এক বছরের পানিও নেই।
পর্তুগালে মোট ২৭৮টি পৌরসভা রয়েছে এবং জনগণের কাছে পানি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাদের।
পর্তুগিজ পরিবেশমন্ত্রী জানান, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৪৩টি পৌরসভায় খরার সবচেয়ে গুরুতর পরিস্থিতিতে বৃহত্তম গ্রাহকদের জন্য পানির দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সরকার। মাসে ১৫ ঘনমিটারের বেশি পানি ব্যবহার করে, এমন পরিবার ও সংস্থাগুলোর জন্যই বাড়বে পানির দাম। পর্তুগালে প্রতিটি পরিবার মাসে গড়ে ১০ ঘনমিটার পানি ব্যবহার করে।
তিনি আরও বলেন, তাদের অবশ্যই সাময়িকভাবে পানির অনাবশ্যক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, যেমন- রাস্তা ধোয়া, পার্ক বা বাগানের গাছে, ফোয়ারা ও সুইমিং পুলে পানি দেওয়া ইত্যাদি।
কর্ডেইরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সুপারিশের চেয়ে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আইনি সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আপাতত এর প্রয়োজন হচ্ছে না।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে ছয়টি বাঁধে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল পর্তুগিজ সরকার।
এইচএন