কলকাতার আন্দোলনে এবার বাংলাদেশের গান
Share on:
কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল গোটা ভারত। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) এদে যোগ দিয়ে রাস্তায় নামলেন টালিউডের তারকারাও।
এদিন কলকাতার কলেজ স্কয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে নাগরিক সমাজ। সেই মিছিলে সামিল হন অভিনেত্রী অপর্ণা সেন, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, চৈতি ঘোষাল, সোহিনী সরকার, উষসী চক্রবর্তী, অপরাজিতা আঢ্য। ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সত্যম ভট্টাচার্যসহ আরও অনেকে।
মিছিলের শেষে ১১ দফা দাবি জানিয়ে ধর্মতলায় অবস্থান করেন টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং নাগরিক সমাজ। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর, শিক্ষা, নারী ও শিশু কল্যাণ ও পরিবহন দপ্তরসহ চারটি বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
তাদের দাবি, যতক্ষণ না সরকারিভাবে কোনো কর্মকর্তা এসে কথা বলেন, ততক্ষণ ধরনা থেকে উঠবেন না।
এদিন রাত যত বাড়ে, জনসমাগমও তত বাড়তে থাকে। পাশাপাশি, গানে ও কবিতায় প্রতিবাদ করতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশের ইথুন বাবুর লেখা ‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ প্রতিবাদী গানে সুর মেলাতে দেখা যায় ধর্মতলার ধরনা মঞ্চের আন্দোলনকারীদের। গান ছাড়াও আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘আমার রাস্তা আমার রাত, ধর্ষকেরা নিপাত যাক।’
ধরনায় উপস্থিত উষসী, সোহিনী, স্বস্তিকা, বিদীপ্তরাও স্লোগান তুলছেন, ‘তিলোত্তমার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
আন্দোলনে যোগ দিয়ে অভিনেত্রী সোহিনী সরকার বলেন, এই ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আর জি করের নির্যাতিতার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন থামবে না।
ধরনা মঞ্চে বসে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বলেন, সবাই দলে দলে ধর্মতলায় আসুন। যতক্ষণ না বিচার পাচ্ছি, বসছি আমরা। চলে আসুন আর পাশের মানুষকে জানান। একটা হাসপাতালে যদি এরকম ঘৃণ্য ঘটনা হতে পারে, তাহলে ভারতবর্ষের যে কোনো জায়গায় এই ঘটনা ঘটতে পারে। সব রাজ্যের নারীরা আওয়াজ তুলুন বিচারের দাবিতে।
যতক্ষণ না সরকারের পক্ষে সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থানে অনড় থাকবেন বলে জানান স্বস্তিকা।
তবে এদিন ধর্মতলায় এই আন্দোলনের মধ্যেও ঘটে গেছে এক অপ্রীতিকর ঘটনা। মঞ্চের যে জায়গায় অবস্থান করছিলেন টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা, সেখানেই আচমকা হঠাৎ ঢুকে পড়েন এক মত্ত যুবক। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেযন আন্দোলনকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত যুবকের নাম তাপস পাল। তাকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এনএইচ