১৪৪ ধারার নোটিশ দিতে গিয়ে মারধরের শিকার পুলিশ কর্মকর্তা
Share on:
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের এক মামলায় আদালত বিবাদপূর্ণ স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করেন। বিবাদীপক্ষের বাড়িতে সেই নোটিশ দিতে যান পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও এক পুলিশ সদস্য। সেখানে তাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চৌরঙ্গী বাজার সংলগ্ন ভালুকা ফকিরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আকিব।
মারধরের শিকার এএসআইয়ের নাম মো. নিজাম এবং পুলিশ সদস্য হলেন মো. রাশেদুল ইসলাম। তারা উপজেলার পান্টি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছেন। আর অভিযুক্তরা হলেন, পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে রফিকুল আলম (৫০) ও তার ছেলে শাকিল (২০)। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমারখালী উপজেলার ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার শমসের আলীর ছেলে শাহীন আলমের সঙ্গে অভিযুক্ত রফিকুল আলমের শূন্য দশমিক ১৭৯ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে শাহীন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত বৃহস্পতিবার ১৪৪ ধারা জারি করেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এএসআই নিজাম ও পুলিশ সদস্য রাশেদুল সেই নোটিশ দিতে গিয়ে বিবাদী রফিকুল ও তার ছেলে শাকিলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুলের স্ত্রী শাহিদা খাতুনের দাবি, পুলিশ প্রথমে বাদীর বাড়িতে নোটিশ দেয়। এরপর সেখান থেকে এসে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার ছেলেকে লাথি মারে ও ধস্তাধস্তি-হাতাহাতি হয়। তারা পুলিশ সদস্যদের মারধর করেননি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আকিব বলেন, ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ দিতে গেলে পুলিশের কাজে বাধা দেয় এবং মারধর করে বিবাদী ও তার লোকজন। এতে তারা আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।
এনএইচ