tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:১৪ পিএম

একদলীয় নির্বাচনী ট্রেন শিগগিরই লাইনচ্যুত হবে: এবি পার্টি


monju2-20231223172752

জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততাহীন আওয়ামী লীগের একদলীয় নির্বাচনী ট্রেন পুরো দেশকে নিয়ে খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত হবে। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও কিছু দালাল ছাড়া এ নির্বাচনী ট্রেনে অন্য কোনো যাত্রী নেই। তাই এ নির্বাচন দেশকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে না নিয়ে বাকশালের অন্ধকার গর্তে নিয়ে ফেলবে।


শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বিজয় নগরে দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া ‘প্রহসনের নির্বাচন বর্জনে প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ পদযাত্রা’য় এসব কথা বলেন এবি পার্টির নেতারা।

এতে বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল ও যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান।

মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটাধিকারকে পদদলিত করে একটি প্রহসনের নির্বাচন করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততাহীন আওয়ামী লীগের একদলীয় নির্বাচনী ট্রেন পুরো দেশকে নিয়ে খুব শিগগিরই লাইনচ্যুত হবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও কিছু দালাল ছাড়া এ নির্বাচনী ট্রেনে অন্য কোনো যাত্রী নেই। তাই এ নির্বাচন দেশকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে না নিয়ে বাকশালের অন্ধকার গর্তে নিয়ে ফেলবে।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বাজারে গিয়ে নিজের পছন্দসই সওদা কিনতে আমরা যাচাই-বাছাই করি এবং পছন্দমতো মাছ, গোশত, ডিম কিনি। কোনো দোকানদার আমাদেরকে তার পছন্দসই জিনিস কিনতে বাধ্য করে না। যদি সেরকম কেউ করে বা করতে চায়, আমরা সে দোকান থেকে মালপত্র কিনি না। কারণ সেখানে আমার নিজের পছন্দ করার কোনো অধিকার নেই। এবারের নির্বাচনে স্বৈরাচারী সরকার আমাদের পছন্দমতো ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। শেখ হাসিনা গণভবনে বসে ঠিক করছেন কে নৌকায়, কে লাঙ্গলে আর কে মশাল আর ঈগল নিয়ে নির্বাচন করবে। নৌকা, লাঙল, মশাল, ঈগল, বাস আর একতারা সবই হাসিনার লোক।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ২০০৪ সালের ৪ জুন শাহবাগের হোটেল শেরাটনের সামনে বিআরটিসির দোতলা বাসে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে ১১ জন যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ১/১১ এর সময়ে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বীকার করেছেন যে যুবলীগের নানক, মির্জা আজমদের হুকুমে গান পাউডার ঢেলে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয় বাসটি পরের দিনের হরতালের সমর্থনে। ঘটনা ঘটিয়ে বিরোধীপক্ষের ওপর দোষ চাপানোর ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা শুধু আওয়ামী লীগেরই আছে। ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ড আর ট্রেনে আগুন লাগিয়ে নিরপরাধ মানুষকে খুনের ঘটনা তাই আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ করতে পারে না।

পদযাত্রা কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, এম আমজাদ খান, যুবপার্টির সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানাসহ অন্যান্য নেতারা।

এমএইচ