অবিলম্বে পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন: শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
Share on:
ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে গাজীপুরে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের ওপর পুলিশী আক্রমণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।
আজ সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, গাজীপুরে পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা যখন ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল, তখন পুলিশ অর্তকিত হামলা চালিয়েছে। পুলিশী হামলায় ইতোমধ্যে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছে। অসংখ্য শ্রমিক আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের এই হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও বেদনাদায়ক। শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ের রাজপথে নেমে এসেছে। সেখানে পুলিশের উচিত ছিল তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহায়তা করা।
তারা বলেন, শিল্প পুলিশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কী শ্রমিকদের নির্যাতন করার জন্য? যখনই শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে রাজপথে নেমে আসে তখনই শিল্প পুলিশ মালিক-সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসাবে হাজির হয়। তাদের বুলেটের আঘাতে ইতঃপূর্বে বহু শ্রমিক নিহত-আহত হয়েছে। আহত শ্রমিকরা কর্মাক্ষম হয়ে গিয়েছে। আজকেও পুলিশের গুলিতে একজন শ্রমিককে নিহত হতে হলো। এর দায়-দায়িত্ব কে নিবে আমরা জানতে চাই।
তারা আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি চলমান মুদ্রাস্ফীতিতে শ্রমিকের সংসার চলছে না। তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা অত্যাবশকীয় হয়ে পড়েছে। কিন্তু মালিক ও সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। সরকার নিজেদের পছন্দমত লোক দিয়ে তথাকথিত মজুরি বোর্ড গঠন করে শ্রমিকদের সাথে মশকরা শুরু করেছে। আমরা বলেছিলাম শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হলে তারা অচিরে রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে। গাজীপুরের চলমান আন্দোলন আমাদের কথার সত্যতা প্রমাণ করেছে। শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু মালিকরা যখন তাদের সেই দুমুঠো ভাত কেড়ে নিচ্ছে তখন আর যাই এই শ্রমিকরা মালিকের পণ্য উৎপাদনের জন্য যেতে পারে না।
তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আমরা মালিকপক্ষকে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিচ্ছি অবিলম্বে পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন। নিহত পোশাক শ্রমিক রাসেল হাওলাদারের পরিবারকে শ্রম আইন মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দিন। যে সকল শ্রমিক আহত হয়েছে তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। যে সকল পুলিশ শ্রমিকদের ওপর নির্দয়ভাবে হামলা চালিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনুন। যদি শ্রমিকদের ন্যায্য না মানা হয় তাহলে আগামী দিনে শ্রমিকরা আরও কঠোর আন্দোলনে ধাবিত হলে এর দায় দায়িত্ব মালিক ও সরকারকে বহন করতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি