ইতিহাসের এই দিনে : নবাব আলীবর্দী খাঁ ও ফ্রান্সিস বেকন’র প্রয়াণ
Share on:
আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে একসময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ রোববার (৯ এপ্রিল) ২৬ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। ১৭ রমজান ১৪৪৪ হিজিরী।
একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনাবলী :
১২৪১ - লিইয়েগনিটয যুদ্ধে মোঙ্গল বাহিনীর পোলিশ এবং জার্মান সৈন্যদের পরাজিত করে।
১৪১৩ - পঞ্চম হেনরি ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৪৪০ - ক্রিস্টোফার ডেনমার্কের রাজা হন।
১৪৮৩ - প্রথম এডওয়ার্ড চতুর্থ এডওয়ার্ডকে ইংল্যান্ডের পরবর্তী রাজা হিসেবে নির্বাচিত করেন।
১৬০৯ - আশি বছরের যুদ্ধ স্পেন এবং ডাচ প্রজাতন্ত্র এন্টওয়ার্প এর চুক্তি স্বাক্ষর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির শুরু করে।
১৭৮৩ - টিপু সুলতান বৃটিশদের কাছ থেকে বেন্দোর দখল করে নেয়।
১৭৫৬ - নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা বা মির্জা মুহাম্মাদ সিরাজ-উদ-দৌলা রাজ্যভার গ্রহণ করেন।
১৮৭২ - স্যামুয়েল আর পার্সি গুঁড়ো দুধ প্যাটেন্ট করে।
১৯১৮ - লাটভিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯২৮ - তুরস্কে ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
১৯৪০ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘অপারেশন ওয়েসেরুবুং’ জার্মানিরা ডেনমার্ক ও নরওয়ে আক্রমণ করে।
১৯৪৫ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আণবিক শক্তি কমিশন গঠন করা হয়।
১৯৪৮ - বায়তুল মোকাদ্দাসারের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত দিরইয়াসিন গ্রামে ইহুদীবাদী ইসরাইলীরা ব্যাপক গণহত্যা চালায়।
১৯৫৭ - সুয়েজখাল সব ধরনের জাহাজ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়।
১৯৬৫ - ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৭৪ - দিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দীকে প্রত্যর্পণের চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
১৯৯১ - জর্জিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়।
১৯৯৭ - বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আই সি সি ট্রফিতে স্কটল্যান্ডকে পরাজিত করে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
১৯৯৮ - সৌদি আরবে হজ্বের শেষ দিনে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ১৫০ জন মুসল্লি নিহত।
জন্মদিন :
১২৮৭ - ইংল্যান্ডের রাজা চতুর্থ এডওয়ার্ড।
১৮০৬ - ইসাম্বারড কিংডম ব্রুনেল, তিনি ছিলেন ইংরেজ প্রকৌশলী ও ক্লিফটন সাসপেনশন ব্রিজ পরিকল্পক।
১৮২১ - ফরাসী কবি শার্ল বোদলেয়ার।
১৮৩০ - এয়াড্বেয়ারড মুয়ব্রিডগে, তিনি ছিলেন ইংরেজ ফটোগ্রাফার ও সিনেমাটোগ্রাফার।
১৮৩৫ - বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপল্ড।
১৮৬৫ - এরিক লুডেন্ডোরফ, তিনি ছিলেন জার্মান জেনারেল ও রাজনীতিবিদ।
১৮৬৭ - ক্রিস ওয়াটসন, তিনি ছিলেন চিলির বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ও ৩য় প্রধানমন্ত্রী।
১৮৭২ - লিও বলুম, তিনি ছিলেন ফরাসি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী।
১৮৮২ - ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজসেবক মহিমচন্দ্র দাশগুপ্ত।(মৃ.১৯৩৮)
১৮৯৩ - রাহুল সাংকৃত্যায়ন ভারতের সুপণ্ডিত ও স্বনামধন্য পর্যটক।(মৃ.১৪/০৪/১৯৬৩)
১৯০১ - পল উইলিয়ামস, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা ও পরিচালক।
১৯২৫ - রোকনুজ্জামান খান বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিকে ও সাংবাদিক । (মৃ.০৩/১২/১৯৯১)
১৯২৬ - হিউ হেফ্নার, মার্কিন প্রকাশক, এবং প্লেবয় পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক।
১৯৩৮ - ভিক্টর চেরনোম্যরডিন, তিনি ছিলেন রাশিয়ান ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও ৩০ তম প্রধানমন্ত্রী।
১৯৪৮ - জয়া বচ্চন, তিনি ভারতীয় অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ।
১৯৫৭ - সেভে বালেস্টেরস, তিনি ছিলেন স্প্যানিশ গল্ফ খেলোয়াড় ও স্থপতি।
১৯৬৬ - সিনথিয়া নিক্সন, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৭৫ - রবি ফাওলার, তিনি সাবেক ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।
১৯৮৫ - আন্তোনিও নকেরিনো, তিনি ইতালিয়ান ফুটবলার।
মৃত্যুবার্ষিকী :
০৫৮৫ - সম্রাট জিমু, তিনি ছিলেন জাপানি সম্রাট।
০৪৯১ - যেনো, তিনি ছিলেন বাইজেন্টাইন সম্রাট।
১৫৫৩ - ফ্রাঁসোয়া রাবলে, তিনি ছিলেন ফরাসি সন্ন্যাসী ও পণ্ডিত।
১৫৫৭ - মিকায়েল আগ্রিকলা, তিনি ছিলেন ফিনিশ যাজক ও পণ্ডিত।
১৬২৬ - ফ্রান্সিস বেকন, ইংরেজ দার্শনিক।
স্যার ফ্রান্সিস বেকন (ইংরেজি Francis Bacon ফ্র্যান্সিস্ বেকন্, ২২শে জানুয়ারি, ১৫৬১ - ৯ই এপ্রিল, ১৬২৬) একাধারে একজন ইংরেজ দার্শনিক, আইনজ্ঞ, কূটনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার পথপ্রদর্শক। আইনজীবী হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করলেও তিনি বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের প্রবক্তা এবং জ্ঞানান্ধতা ও গোঁড়ামি বিরোধী হিসেবে সুখ্যাত হন। ফ্রান্সিস বেকনকে অভিজ্ঞতাবাদের জনক বলা হয়। তিনি দর্শনিক চিন্তাধারার কিছু মৌলিক তত্ব প্রবর্তন করেন যেগুলোকে বেকনিয়ান মেথডও বলা হয়ে থাকে। কোন জিনিসের উৎস অনুসন্ধানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধানের প্রক্রিয়াগুলো তিনিই প্রবর্তন করেন। এইসব প্রক্রিয়াকে সংক্ষেপে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া বলা হয়। ফ্রান্সিস বেকন ১৬০৩ সালে নাইটহুড পান। এছাড়াও ১৬১৮ এবং ১৬২১ সালে ব্যারন ভিরলাম এবং ভিসকাউন্ট সেন্ট এলবান উপাধি পান। যেহেতু মৃত্যুর সময় তার কোন উত্তরসূরী ছিল না, তাই পরবর্তীকালে তার উপাধিগুলো বিলীন হয়ে যায়।
১৭৫৪ - ক্রিস্টিয়ান উলফের, তিনি ছিলেন জার্মান দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ।
১৭৫৬ - নবাব আলীবর্দী খাঁ, তিনি ছিলেন বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার নবাব।
আলীবর্দী খাঁ (১৬৭৬-১৭৫৬) বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নওয়াব (১৭৪০-১৭৫৬)। তিনি প্রথম জীবনে মির্জা মুহম্মদ আলী নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন আরব বংশোদ্ভূত মির্জা মুহম্মদের পুত্র। মির্জা মুহম্মদ ছিলেন আওরঙ্গজেব-এর দ্বিতীয় পুত্র মির্জা আজম শাহের দরবারের একজন কর্মচারী। তার মাতা ছিলেন খোরাসানে বসবাসকারী আফসার গোত্রীয় তুর্কি এবং তার পিতামহ ছিলেন আওরঙ্গজেবের বৈমাত্রেয় ভাই। মুহম্মদ আলী বয়োপ্রাপ্ত হলে আজম শাহ তাঁকে পিলখানার (হাতিশালা) তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করেন। অচিরেই তাঁকে জার্দোজখানার (জরিদার বস্ত্রের গুদামঘর) তত্ত্বাবধায়কের পদ প্রদান করা হয়। তাঁর পৃষ্ঠপোষক আজম শাহ ১৭০৭ সালে এক যুদ্ধে নিহত হলে তিনি চাকুরিহারা হন। ফলে তাঁর পরিবার আর্থিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। জীবিকা নির্বাহের জন্য ভাগ্যান্বেষণে তিনি বাংলায় যাবার সিদ্ধান্ত নেন। তৎকালীন বাংলা অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় রাজনৈতিক ঝামেলামুক্ত ছিল। ১৭২০ সালে তিনি তাঁর পরিবার পরিজন নিয়ে বাংলার উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু বাংলার নওয়াব মুর্শিদকুলী খান তাঁকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেননি। ফলে তিনি কটকে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। কটকের শাসনকর্তা সুজাউদ্দীন তাঁকে সসম্মানে গ্রহণ করে একশ টাকা মাসিক বেতনে চাকুরি প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর বিশ্বস্ততা এবং উড়িষ্যায় অবাধ্য জমিদারদের দমনে সাফল্যের জন্য তাঁকে উচ্চপদে নিয়োগ করা হয়। এভাবে উড়িষ্যা হয়ে ওঠে বাংলার ভবিষ্যত নবাব মির্জা মুহম্মদ আলীর অনুশীলনের ক্ষেত্র।
১৮৮২ - ডান্টে গ্যাব্রিয়েল রসেটি, তিনি ছিলেন ইংরেজ চিত্রশিল্পী, চিত্রকর ও কবি।
১৮৮৯ - মাইকেল ইউজিনে শেভরেউল, তিনি ছিলেন ফরাসি রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ।
১৯৩৬ - ফেরডিনান্ড টনিয়েস, তিনি ছিলেন জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ও দার্শনিক।
১৯৪৫ - ডিয়েট্রিখ বোনহোফের, তিনি ছিলেন জার্মান যাজক ও ধর্মতত্ত্ববিদ।
১৯৪৫ - উইলহেম কানারিস, তিনি ছিলেন জার্মান নৌসেনাপতি।
১৯৫৯ - ফ্র্যাংক লয়েড রাইট, তিনি ছিলেন আমেরিকান স্থপতি, ইন্টেরিওর ডিজাইনার, লেখক ও শিক্ষক।
১৯৭০ - প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি রসায়ন বিজ্ঞানী জ্ঞানেন্দ্রনাথ রায়। (জ.১৮৯৭)
১৯৮০ - মোহাম্মদ বাকির আল-সাদর, তিনি ছিলেন ইরাকি দার্শনিক।
১৯৯৩ - ইরানের বিখ্যাত শিল্পী ও লেখক সাইয়্যেদ মোর্তজা আয়ুবী শাহাদাত।
২০০১ - শাকুর রানা, তিনি ছিলেন পাকিস্তানি আম্পায়ার।
২০০৯ - শক্তি সামন্ত, ভারতীয় বাঙালী চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।(জ.১৩/০১/১৯২৬)
২০১১ - সিডনি লুমেট, তিনি ছিলেন আমেরিকান পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
২০২১ - পবিত্র মুখোপাধ্যায়, বাঙালি কবি। (জ.১৯৪০)
এন