পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের শুভেচ্ছা
Share on:
ত্যাগের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শোষণমুক্ত ও তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
শুক্রবার (১৪ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগরসহ দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে এসব কথা বলেন।
নেতারা বলেন, ত্যাগ ও কুরবানির প্রেরণা নিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের মাঝে সমাগত। এই ঈদ শুধুমাত্র ত্যাগের চেতনাকেই উজ্জীবিত করেনা সেই সাথে সমাজে অনৈক্য ভুলে গিয়ে পরস্পরের ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে বন্ধনকে আরো মজবুত করে। আমাদের মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর রাহে ত্যাগ ও কুরবানির মহাপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ফলে তার স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ঈমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্যেই আল্লাহ তা’য়ালা মুসলিম মিল্লাতের উপর কিয়ামত পর্যন্ত এ কুরবানীকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন। যাতে প্রতিটি মুসলমান তার নফসের উপর বিজয়ী হয়ে নিজের প্রিয় বস্তু, ধন-সম্পদ, চিন্তা-চেতনা আল্লাহর রাহে কুরবানী করে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জন করতে পারে। কুরবানীর মূল শিক্ষাই হলো নিজের অহংবোধকে বিসর্জন দেওয়া এবং সেই সাথে আল্লাহর দেওয়া বিধি-নিষেধ পালন করে পরিপূর্ণ ত্বাকওয়াবান মুমিন হওয়া।
নেতারা আরও বলেন, দেশবাসী এবার এমন একটি সময়ে ঈদুল আযহা উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন আওয়ামী অপশাসনের যাঁতাকলে জনগণ তার নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের আগ্রাসনে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। প্রতিনিয়ত তারা সীমান্তে এদেশের মানুষের লাশ উপহার দিচ্ছে। চাল, ডাল, গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে জনগণ আজ দিশেহারা। সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও অব্যবস্থাপনার ফলে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বাজেট হচ্ছে জনগণের চিন্তার প্রতিফলন। অথচ এবারের বাজেটে সাধারণ মানুষের চিন্তার প্রতিফলনের পরিবর্তে সামাজিক বৈষম্য ও লুটেরাদের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় দেশের এই ক্রান্তিকালে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
নেতারা বলেন, পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেছেন- “বলুন, আমার নামায, আমার কুরবাণী এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে”। তাই ঈদুল আযহা আমাদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভের সুযোগ করে দেয়। আমরা যদি বাস্তব জীবনে ইসলামী আদর্শ অনূসরণ করে সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করতে পারি তাহলেই কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে। নেতৃবৃন্দ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে নগরবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহŸান জানান। সেইসাথে নেতৃবৃন্দ আবারো ঢাকা মহানগরীসহ দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানান এবং সবাইকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রেখে স্বাস্থ্য সচেতনতার সাথে যথাযথ মর্যাদায় ঈদুল আযহা উদযাপন করার আহŸান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
এমএইচ