বিচারপতি মানিককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ
Share on:
কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে আয়োজিত টকশোতে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যা দিয়ে অশালীন আচরণের ঘটনায় জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বিচারপতি মানিককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
রোববার (১১ আগস্ট) ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এ নোটিশ পাঠান।
সোমবার (১২ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ বিষয়ে আইনজীবী ফাওজিয়া করিম বলেন, একজন বিচারপতির এমন আচরণ আমরা ক্ষমা করতে পারি না। বিচারপতি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় বিতর্কিত রায় দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাক স্বাধীনতা না থাকার কারণে কেউ কিছু বলতে পারেনি। এখন আমাদের বাচ্চারা আমাদের সেই বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা এখন ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নিবো বলে চিন্তা করেছি।
তিনি আরও বলেন, বিচারপতি মানিকের মানসিকভাবে অসুস্থ হলে তিনি এমনভাবে কেন ঘুরে বেড়ান। আর টেলিভিশনের টকশোগুলো যারা চালান তারাই বা কেন এমন অসুস্থ মানুষকে অতিথি হিসেবে নিয়ে আসবেন। তাদেরও একটি গাইডলাইন থাকা উচিত, যে কাকে টকশোতে নেওয়া যাবে আর কাকে পরিহার করতে হবে। সাংবাদিক ভাই-বোনদের কাছেও আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা সত্যিটাকে খুঁজে বের করুন, মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।
বিচারপতি মানিককে পাঠানো আইনি নোটিশে বলা হয়, কোটাবিরোধী আন্দোলন ইস্যুতে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আয়োজিত টক শোতে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। কিন্তু আলোচনার একপর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। পুরো অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকবার উপস্থাপিকার ওপর নিজের ক্ষোভ ঝাড়েন এবং উচ্চবাচ্য করেন। শুধু তাই নয়, তিনি অনুষ্ঠান শেষে স্টুডিও ছাড়ার আগে উপস্থাপিকাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে আখ্যা দেন। সে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
তাই উক্ত নোটিশে বিচারপতি মানিককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আলোচিত সেই ভিডিওতে দেখা যায়, আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার আগ মুহূর্তে বিচারপতি মানিক বলে ওঠেন, ‘সে তো রাজাকারের বাচ্চা।’ তাৎক্ষণিক এর প্রতিবাদ জানিয়ে সঞ্চালক দীপ্তি বলেন, ‘আপনার কোনো অধিকার নেই আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলার। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।’ তখন বিচারপতি মানিক বলেন, ‘অবশ্যই। আপনি রাজাকারের বাচ্চা।’
এমএইচ