সাকিব দেশে ফিরলে কী হবে
Share on:
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিবের নামও যে জড়ানো হয়েছে এক হত্যা মামলায়!
আগামী মাসে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে কি খেলবেন সাকিব আল হাসান? তিনি দেশে ফিরলে কী হবে? ভারত সফরে একটি মাত্র টেস্ট শেষ হতেই প্রশ্নটা আজ উঠে গেল কারণ, সাকিবের জন্য আপাতত বিদেশের চেয়ে দেশে খেলাটাই কঠিন মনে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর জানামতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে সাকিবের খেলতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
শাহরিয়ার বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, মাননীয় আইন উপদেষ্টা এবং মাননীয় ক্রীড়া উপদেষ্টা খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন। বাংলাদেশ সরকার থেকেও পরিষ্কার বার্তা আছে, যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলোতে কাউকে অন্যায়ভাবে হেনস্তা করা হবে না।
সাকিবের ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের অবস্থান খুব সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছে। চোটের সমস্যা না থাকলে এবং নির্বাচনজনিত কোনো ইস্যু যদি না থাকে, এখন পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের হোম সিরিজে না খেলার কোনো কারণ আমি দেখি না।’
সূত্র জানিয়েছে, দেশে মামলা থাকলেও সাকিব সিরিজটি খেলতে বেশ ব্যগ্র হয়ে আছেন। তাঁর আশা, দেশে এলে তাঁকে কোনোভাবে হেনস্তার শিকার হতে হবে না। অন্যদিকে নির্বাচক কমিটিও তাঁকে দলে রাখা বা না রাখার সিদ্ধান্তটি শুধু ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নেবে। অন্য কোনো বিষয় তারা বিবেচনায় নেবে না।
ওদিকে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেছেন, সাকিব যাতে স্বস্তি নিয়ে খেলতে পারেন, বিসিবির উচিত সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা। প্রথম আলোকে তিনি আজ মুঠোফোনে বলেন, ‘একজন ক্রিকেটারের মাঠে খেলার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকা প্রয়োজন। খেলতে গিয়ে সাকিব যেন কোনো মানসিক অস্বস্তিতে না পড়েন বা কোনোভাবে হেনস্তার শিকার না হন; আশা করি বিসিবি সেটি নিশ্চিত করবে। তাঁকে মানসিক স্বস্তি নিয়ে খেলতে দিতে হবে।’
কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৭ সেপ্টেম্বর। এরপর তিনটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ হবে ৬, ৯ ও ১২ অক্টোবর। এরপর সাকিব দলের সঙ্গে দেশে ফিরবেন নাকি পরে ফিরবেন, তা অবশ্য এখনো নিশ্চিত নয়।