টানা তিন জয় সিলেট স্ট্রাইকার্সের
Share on:
অভিজ্ঞ এবং তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের মিশ্রণটা খুব ভালোভাবেই কাজে দিচ্ছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য। একদিকে যেমন পারফর্ম করছেন মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ আমিরের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা, অন্যদিকে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিচ্ছেন জাকির হোসেন, তৌহিদ হৃদয়ের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা। তাতে বিপিএলের চলতি আসরে প্রথম তিন ম্যাচেই জয় পেয়েছে মাশরাফির সিলেট।
টানা জয়ে একদিকে যেমন শীর্ষে উঠে গেছে সিলেট, অন্যদিকে দুই ম্যাচ হেরে এখন তলানিতে কুমিল্লা। ভালো দল গড়েও গতবারের চ্যাম্পিয়নরা প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে বড় ব্যবধানে। সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে ইমরুল কায়েসের দল।
দিনের প্রথম খেলায় আজ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। থিসারা পেরেরার প্রথম ওভারে দুই বাউন্ডারি মেরে সেই ওভারেই ফেরেন লিটন দাস। সাময়িক সে চাপ অবশ্য সামলে নেন ডেভিড মালান এবং সৈকত আলি।
মাশরাফি মুর্তজার এক ওভারে ৩ চার মেরে ভালো শুরুর আভাস দিলেও সৈকত ফিরেছেন ২০ রানে। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও থিতু হতে পারেননি ক্রিজে। মোহাম্মদ আমিরের বলে ক্যাচ হয়ে ব্যক্তিগত ২ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
গেল ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ মোসাদ্দেক হোসেন। ৮ বল খেলে করেছেন মোটে ৫ রান। আফগান তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবীও ফিরেছেন দুই অঙ্কে পৌঁছার আগেই। শেষ ওভারে আবু হায়দার রনির ছয়ে কুমিল্লার রান গিয়ে দাঁড়ায় ১৪৯-এ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানে মোহাম্মদ হ্যারিসের উইকেট হারায় কুমিল্লা। তবে তাতে রানের গতি কমেনি। তৌহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারেই ৮৫ রান করে ফেলে কুমিল্লা। ১০ বলে ২০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে মোহাম্মদ নবির বলে ফেরেন জাকির হোসেন। তবে ধরে খেলেছেন হৃদয়। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক।
৩৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে হৃদয় যখন ফিরলেন, তখন জয় থেকে মাত্র ২২ রান দূরে সিলেট। আকবর আলীকে নিয়ে মুশফিকুর রহিম সহজেই উতরে গেলেন সে লক্ষ্য।
এমআই