সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১৮-১৫১ কিলোমিটার
Share on:
ঘনীভূত ও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তবে এর সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১৮-১৫১ কিলোমিটার পর্যন্ত।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপটি কিছুটা উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেন বলেন, যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তবে আশা করা যায় ১৩৫ কিলোমিটারের বেশি এটি গতিবেগ পাবে না। তবে আশঙ্কার ব্যাপার হলো এটি এই বেগেই উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ফলে দমকা বা ঝোড়ো বাতাসের বেগ আরও কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ সম্পর্কে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে যেকোনো জায়গার ওপর দিয়েই স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। তবে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট।
খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে সুন্দরবনের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ফলে বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে বরিশাল, নোয়াখালী এমনকি চট্টগ্রামের অদূরবর্তী দ্বীপগুলো মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। এসব এলাকায় ঘণ্টায় ৭০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে এবং ৬-৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বর্ষাকালের মতো একটানা বৃষ্টিও হতে পারে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। উপকূলীয় এলাকা যেমন পশ্চিমবঙ্গ, খুলনা, বরিশাল এলাকায় কোথাও কোথাও ২০০-৫০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এর বাইরে চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী বিভাগের পূর্বাংশ, ময়মনসিংহ এলাকায়ও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এসএম