আ.লীগ সমাজের ব্যাধি মোকাবিলা করে : পরিকল্পনামন্ত্রী
Share on:
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সমাজের ব্যাধি মোকাবিলা করে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) কারওয়ানবাজার প্রথম আলোর কার্যালয়ে ‘কোভিডের প্রকোপ কমেছে, বাল্যবিবাহ কি কমবে’ শীর্ষক এক গোল টেবিলে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের যারা অনেকে টাকা কামিয়েছে বানিয়েছে, দুটো কথাই ঠিক আছে। এটা লুকানোর কি আছে? আমাদের দায়িত্বও কিন্তু রয়ে গেছে। তা হলো টাকা নিয়ে বিদেশ যাওয়া দায়িত্ব নয়, টাকা নিয়ে এখানে বসবাস করাই আমাদের দায়িত্ব। সমাজের অগ্রযাত্রায় সুশীল সমাজ যেসব নসিয়ত আমাদের দেয় তা অনেকাংশে মেলে না। আমি গ্রামে হাওরে প্রায় যাই, আমাদের অনেক প্রতিবেশী, আত্মীয় সবাই বসবাস করে গ্রামে। আমি বাজারে ও প্রতিবেশীর বাসায় বসি, খাই গল্প করি। তাদের ডিমান্ডের যে তালিকা তা শহরের সঙ্গে মেলে না। শহরের মানুষ সুশাসন চায়, গ্রামের মানুষ সুশাসনের অর্থ ভিন্নভাবে বলে।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষের ডিমান্ডের তালিকা হলো, আপনি মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন, টিউবওয়েল দেন বেশি করে, পাকা পায়খানা, দুইটা কালভার্ট লাগবে, কেউ বলে বয়স্ক ভাতার একটা কার্ড লাগবে। গ্রামের মানুষের চাহিদা এসব বিষয়। গ্রামের চাহিদা শহরে এলে উল্টে যায়। শিশুশ্রম ও বাল্য বিবাহ বড় ব্যাধি, দারিদ্রতাও বড় ব্যাধি। এসব বিষয়কে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকার জন্য বলছি না। কারণ ফিজিক্যাল কারণে আমি ক্ষমতা বেশিদিন ভোগ করতেও পারব না। তবে একটা কথা বলতে পারি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সমাজের এসব ব্যাধি মোকাবিলা করে।
তিনি আরও বলেন, কোভিডের সময় সমাজের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমার মনে হয়, সমস্যা নিয়ে আরও গভীরে আলোচনা করা দরকার। আর্থিক অবস্থা জট পাকিয়ে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে, এখন সমাধান খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। তারপরও সামগ্রিক পরীক্ষায় আমরা ভালো করেছি। এটা নিয়ে নিজেরা গর্ববোধ করি। নিজের সঙ্গে তুলনা করলে এটা ভালো দেখা যায়।
বাল্যবিবাহ রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে সব থেকে বেশি বিয়ে হয় আমাদের অঞ্চলে। এটা আমাদের ঐতিহ্য। বাল্যবিবাহও বেশি হয়। সবাই মিলে এটা রুখে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে এসিল্যান্ড বাধা দেয়, অনেক সময় মেয়ে নিজে যখন টেলিফোন করে বলে বাবা আমাকে বিয়ে দিচ্ছে এটা শুনে ভালো লাগে না। সরকার একা পারবে না। কারণ সরকারের কতগুলো অসুবিধা আছে।
‘দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নিরক্ষরতা বাধা ছিল , এটা অর্জন করেছি। দারিদ্র ৭২ শতাংশের কাছাকাছি ছিল সেটা নেমে নেমে ২০ শতাংশ হয়েছে। ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন দারিদ্র ৪০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। সেটা গত ১৩ থেকে ১৫ বছরে টেনে টেনে ২০ শতাংশে নামানো হয়েছে। এটা কিন্তু অনেক বড় অর্জন। আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। ভূমি ব্যবস্থা হাত দিতে হবে। এসব জায়গায় হাত দিলেই নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়। সবাইকে নিয়ে যেতে হবে। কাউকে ফেলে দেওয়া যাবে না’
এ সময় গোল টেবিলে অংশ নেন কবি, লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক আনিসুল হক, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।
এমআই