এক দশক পর দেশে ফিরছেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী
Share on:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিতাড়িত আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গঠনের অন্যতম কারিগর সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী আগামী বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরছেন।
প্রায় এক দশক মার্কিন হোয়াইট হাউজ, স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিমণ্ডলে পেশাদার এই সাংবাদিক বাংলাদেশের ভঙ্গুর মানবাধিকার পরিস্থিতি ও আওয়ামী দুঃশাসনের নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন সাহসিকতার সাথে।
তার এই দেশে ফেরা উপলক্ষে আগামী শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সাহসী সাংবাদিকতার কারণে সরকারের রোষানলে পড়ে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন মুশফিকুল ফজল আনসারী।
দেশে ফেরা প্রসঙ্গে মুশফিকুল ফজল আনসারী গণমাধ্যমকে বলেন, এতদিন পর দেশে ফিরব, এটা ভেবে আমি রোমাঞ্চিত বোধ করছি। আমি আমার প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধব, ছাত্র-শিক্ষক এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আবার মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় আছি।
এই সাংবাদিক বলেন, ছাত্র-জনতার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করা হয়েছে। গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের পথ আজ প্রশস্ত হয়েছে। একজন নোবেলজয়ী অধ্যাপক দেশের ক্রান্তিকালীন অবিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, জাতি হিসেবে এটা আমাদের গর্বের।
যুক্তরাষ্ট্রে মুশফিকুল ফজল আনসারী হোয়াইট হাউস এবং জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও তিনি মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক এবং অ্যাম্বাসেডর উইলিয়াম বি মাইলাম সম্পাদিত বৈদেশিক নীতি ম্যাগাজিন সাউথ এশিয়া পারসপেক্টিভস-এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও কাজ করছেন।
মুশফিকুল ফজল আনসারী ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনীতিক প্রতিবেদক ছিলেন। এছাড়া বার্তা সংস্থা ইউএনবিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় কাজ করেছেন। ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কনসালট্যান্ট। ওয়ার্কএক্সিপিরিয়েন্স রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন বিশ্বখ্যাত ব্রিটেনের দ্য টাইমস ও সানডে টাইমস পত্রিকায়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভিতে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। এনটিভিতে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান 'হ্যালো এক্সেলেন্সি' হোস্ট করেছেন, যেখানে রাষ্ট্রদূত এবং বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। তিনি জাস্টনিউজবিডির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন।
এমএইচ