ইতিহাসের এই দিনে: ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা লাভ
Share on:
আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট), ২ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯ মুহররম ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনাবলী:
১৮১৫ - কলকাতা শহর থেকে ষাঁড় বহিষ্কারের জন্য আইন প্রণীত হয়।
১৮৩৬ - ব্রিটেনে জন্ম, মৃত্যু ও বিবাহ নিবন্ধীকরণ শুরু হয়।
১৯০১ - বেঙ্গল থিয়েটার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুনরায় এটি অরোরা থিয়েটার নামে চালু হয়।
১৯১০ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি বাংলায় প্রথম প্রকাশিত হয়। (সূত্র- আকাশবাণী কলকাতার- প্রাত্যহিকি-১৭/০৮/২০২০)
১৯১৮ - বলশেভিক আন্দোলনের নেতা মইসি উরুৎস্কি নিহত হন।
১৯৪৫ - হল্যান্ডের উপনিবেশের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার জনগণ আন্দোলন শুরু করে।
১৯৪৫ - ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৪৭ - ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতে নিয়োজিত ব্রিটিশ বাহিনীর প্রথম ব্যাটালিয়ন স্বদেশের উদ্দেশে ভারত ত্যাগ করে।
১৯৬০ - আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গ্যাবন স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৮২ - জার্মানিতে প্রথম কমপ্যাক্ট ডিস্ক উন্মোচিত হয়।
১৯৮৭ - বৃটিশ কারাগারে আটক হিটলারের সহকারী রুডলফ হেস আত্মহত্যা করে।
১৯৮৮ - পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনালের জিয়াউল হক এবং পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরনল্ড রাফের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।
১৯৯৯ - তুরস্কে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।
২০০৫ - বাংলাদেশের ৬৩ টি জেলার ৩০০ টি স্থানে প্রায় ৫০০ হাতে তৈরি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
২০০৬ - পাবনায় বন্দুক যুদ্ধে ১০ জন নিহত।
২০০৮ - গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ব্যাডমিন্টন - পুরুষদের একক ব্যাডমিন্টনে পুরুষদের সিঙ্গলসের ফাইনাল খেলা। একই দিনে ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে সাঁতার – মহিলাদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল মহিলাদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতার ফাইনালে ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে জার্মানির ব্রিটা স্টিফেন ২৪.০৬ সেকেন্ড সময়ে নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক পান।
জন্মদিন:
১৭৬১ - উইলিয়াম কেরি ব্রিটিশ খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক, বাংলায় গদ্য পাঠ্যপুস্তকের প্রবর্তক। (মৃ.০৯/০৬/১৮৩৪)
১৮০১ - ফ্রেডরিকা ব্রেমার, সুইডিশ লেখক ও নারীবাদী সংস্কারক। (মৃ. ১৮৬৫)
১৮৬৬ - মাহবুব আলি খান, ষষ্ঠ আসাফ জাহ, হায়দ্রাবাদের ষষ্ঠ নিজাম। (মৃ. ১৯১১)
১৮৭৮ - রেজি ডাফ, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। (মৃ. ১৯১১)
১৮৭৯ - স্যামুয়েল গোল্ডউইন, পোলীয় মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক।
১৯২০ - সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায় , নৌ-বিদ্রোহের অন্যতম বিপ্লবী শহীদ। (মৃ.১৯৪৩)
১৯৩২ - বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল, ভারতীয়-নেপালি বংশোদ্ভূত ত্রিনিদাদীয় সাহিত্যিক।
১৯৩২ - মুর্তজা বশীর, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী।
মুর্তজা বশীর (জন্ম: ১৭ আগস্ট ১৯৩২ - মৃত্যু: ১৫ আগস্ট ২০২০) একজন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী, কার্টুনিস্ট এবং ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার পিতা ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি ১৯৪৯ সালে বগুড়া করনেশন ইন্সটিটিউট থেকে মেট্রিক পাশ করেন।
ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য হিসেবে তিনি আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি বগুড়া শহরে আন্দোলনের জন্য বেশ কয়েকটি মিছিল এবং মিটিং আয়োজনে কাজ করেছিলেন। ১৯৪৯ সালে তিনি ঢাকা আর্ট কলেজে ভর্তি হন।
তিনি ১৯৫০ সালে ৫ মাস কারাভোগ করেছিলেন এবং পরিশেষে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন। ২১ শে ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমতলার মিটিং-এ যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে ঢাকা জাদুঘরে প্রদর্শনী মুলতবি রাখতে ঢাকা জাদুঘরে যান।
তিনি ফেব্রুয়ারি ২২ তারিখের গায়েবানা জানাজাতেও যোগদান করেছিলেন এবং পুলিশ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে তারা পলাতক থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি আন্দোলনের জন্য অনেক কার্টুন এবং ফেস্টুন এঁকেছেন।
তার কার্টুনগুলো দেশ ও ভাষার জন্য লড়াই এবং ত্যাগের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। চিত্রশিল্পীর পাশাপাশি তিনি ছিলেন প্রথম জীবনে রাজনৈতিক কর্মী। পরবর্তীতে ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী, কবি, ছোট গল্পকার, ঔপন্যাসিক, চিত্রনাট্যকার, সহকারী চিত্রপরিচালক, প্রবন্ধকার, গবেষক ও শিক্ষক।
১৯৪৯ সালে ঢাকা গভর্নমেন্ট ইনষ্টিটিউট অব আর্টস (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট)-এ দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে মুর্তজা বশীর চারুকলা শিক্ষা শুরু করেন। ১৯৫৪ সালে ৫ বছর মেয়াদী শিল্প শিক্ষা শেষ করে প্রথম বিভাগে পাশ করেন।
মুর্তজা বশীর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৪০ - শবনম, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৪৩ - রবার্ট ডি নিরো, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা, ও পরিচালক।
১৯৭২ - হাবিবুল বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।
১৯৯১ - অস্টিন বাটলার, একজন মার্কিন অভিনেতা।
১৯৯২ - পেইজ (কুস্তিগীর), একজন ইংরেজ পেশাদার কুস্তিগির এবং অভিনেত্রী।
১৯৯৩ - সিন্তা লরা, ইন্দোনেশিয়ান-জার্মান অভিনেত্রী, ইলেক্ট্রোপপ গায়িকা এবং মডেল।
১৯৯৩ - এদেরসন মোরায়েস, একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৯৪ - টাইসা ফারমিগা, একজন আমেরিকান অভিনেত্রী।
মৃত্যুবার্ষিকী:
১৭৮৬ - প্রুশিয়ার রাজা ফ্রেডেরিখ দ্য গ্রেট (দ্বিতীয়)।
১৮৫০ - হোজে দে সান মার্টিন, আর্জেন্টাইন জেনারেল এবং পেরুর প্রথম রাষ্ট্রপতি। (জ. ১৭৭৮)
১৮৫০ - বিশ্ববিশ্রুত কথাশিল্পী অনরে দ্য বালজাক।
১৯০৮ - রাদ্বয়ে ডোমানোভিচ, একজন সার্বিয় লেখক, সাংবাদিক এবং শিক্ষক। (জ. ১৮৭৩)
১৯০৯ - মদন লাল ধিংড়া, ভারতের অগ্নিযুগের বিপ্লবীর ফাঁসি হয়। (জ.১৮৮৩)
১৯৪৯ - পুলিনবিহারী দাস ঢাকা অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা। (জ.২৮/০১/১৮৭৭)
১৯৬৯ - অটো ষ্টের্ন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী। (১৭/০২/১৮৮৮)
১৯৭৩ - মার্কিন ঔপন্যাসিক ও কবি কনর্যাড এইকিন।
১৯৮৪ - আচার্য চিন্ময় লাহিড়ী, বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী। (জ.২০/০৩/১৯২০)
১৯৮৮ - মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক, ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানের বিশিষ্ট জেনারেল ছিলেন। (জ. ১৯২৪)
২০০৪ - নিমাইসাধন বসু বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। (জ.১২/০৯/১৯৩১)
২০০৬ - শামসুর রাহমান, প্রখ্যাত বাংলাদেশী কবি।
২০০৬ - আনোয়ার পারভেজ, বাংলাদেশী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, ও সঙ্গীতজ্ঞ।
২০২০ - পণ্ডিত যশরাজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী। (জ.২৮/০১/১৯৩০)
দিবস:
ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবস
এন