ইউক্রেন উত্তেজনা: 'যে কোনো মুহূর্তে' হামলা
Share on:
ইউক্রেন কেন্দ্র করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ইউক্রেন সীমান্তের চারপাশে মোতায়নে করা হয়েছে রাশিয়ার সৈন্য। রাশিয়া ‘যে কোনো মুহূর্তে’ ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কা থেকে আমেরিকা কিয়েভে তাদের দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে ইউক্রেনের চারপাশ থেকে রাশিয়ার সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন কেন্দ্র করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ইউক্রেন সীমান্তের চারপাশে মোতায়নে করা হয়েছে রাশিয়ার সৈন্য। রাশিয়া ‘যে কোনো মুহূর্তে’ ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কা থেকে আমেরিকা কিয়েভে তাদের দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে ইউক্রেনের চারপাশ থেকে রাশিয়ার সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে শনিবার ইউক্রেন থেকে কয়েকজন কূটনীতিক সরানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, রাশিয়ার হামলা আকাশ থেকে হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হতে পারে। এতে বেসামরিক লোকজনের জীবন যেমন ঝুঁকির মুখে পড়বে, তেমনই ইউক্রেন ত্যাগ করা তখন কঠিন হয়ে পড়বে।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘ রুশ সেনা মোতায়েন করায় পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোও পূর্ব ইউরোপে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে। সব মিলিয়ে ইউরোপে যুদ্ধের দামামা বাজছে।
ইউক্রেনে হামলার আশঙ্কা নিয়ে গতকাল মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য রুশ বাহিনী চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। যদিও আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুই বলতে পারব না, তবে এটা বলতে পারি, বর্তমানে সামরিক আগ্রাসনের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়েছে।
জ্যাক সুলিভানের এমন সতর্কবার্তার পরপরই হোয়াইট হাউস পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশনা দেয়।
কিয়েভ বা অন্য দেশের সম্ভাব্য উসকানির ভয়ে আমরা ইউক্রেনে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসে কর্মী কমিয়ে আনছি।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা জানান, ইউক্রেনে হামলার আশঙ্কা ও অন্য দেশের সম্ভাব্য উসকানির ভয়ে কিয়েভ থেকে তাদের কূটনীতিকদের সংখ্যা কমিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ কূটনীতিকরা ইউক্রেন বা অন্য কোনো পক্ষের উসকানির শিকার হতে পারেন।
অন্যদিকে ইউক্রেনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মেলিন্ডা সিমনস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তিনিসহ কূটনীতিকদের পুরো দলটিই কিয়েভে অবস্থান করবেন। সূত্র: বিবিসি।
এইচএন