হাসানের ফাইফার, আয়ারল্যান্ড ১০১ রানে অলআউট
Share on:
বাংলাদেশের মূল শক্তি একটা সময় ছিল স্পিন। তবে এখন দিন বদলে গেছে। পেস আক্রমণ দিয়েও প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করার শক্তি অর্জন করে ফেলেছে টাইগাররা।
বৃহস্পতিবার ( ২৩ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতেই যেমন দেখা গেলো বিধ্বংসী পেস ত্রয়ীর তাণ্ডব। হাসান মাহমুদ একাই নিলেন ৫ উইকেট, তাসকিন আহমেদ ৩টি আর এবাদত হোসেনের শিকার ২টি।
২৮.১ ওভারে ১০১ রানেই গুটিয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। অর্থাৎ সিরিজ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে মাত্র ১০২ রান।
টস জিতে বাংলাদেশকে আগের দুই ম্যাচে ব্যাট করতে পাঠানোর পর আয়ারল্যান্ড বুঝেছিলো, সম্ভবত আগে ব্যাট করলেই বেশি রান করা যায়। সে কারণেই তৃতীয় ম্যাচে আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
কিন্তু আইরিশরা ব্যাট করতে নেমে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতেই বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদের তোপের মুখে পড়ে । ২৬ রানেই তারা হারায় ৪টি উইকেট।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ। তার সঙ্গে উইকেট শিকারে মাতেন পেসার তাসকিন আহমেদও। তিনি ফিরিয়েছেন অধিনায়ক বালবির্নিকে।
ব্যাট করতে নামার পর দুই ওপেনার একটু সতর্ক শুরু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে হাসান মাহমুদের ব্যাটের কোনা লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন স্টিফেন দোহানি। ২১ বল খেলে ৮ রান করেছিলেন তিনি। দলীয় রান ছিল তখন ১২।
এরপর ইনিংসের ৯ম ওভারে আরেক ওপেনার পল স্টার্লিংকে এলবিডব্লিউর শিকার করেন হাসান মাহমুদ। দলীয় রান ছিল তখন ২২। একই ওভারের ৪র্থ বলে এই ২২ রানের মাথায় আইরিশদের বসিয়ে টপ অর্ডার হ্যারি টেকটরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন হাসান। ২২ রানেই সাজঘরে ফিরে যান ৩ জন ব্যাটার।
এরই মধ্যে তাসকিনের বলে একটি এবং হাসান মাহমুদের বলে আরও একটি ক্যাচ মিস হয়। তবে ইনিংসের ১০ম ওভারে অ্যান্ডি বালবির্নি ক্যাটের কানায় লাগিয়ে বল তুলে দেন প্রথম স্লিপে। সেখানে নাজমুল হোসেন শান্ত ক্যাচ ধরেন বালবির্নির।
২৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর কুর্তিস ক্যাম্ফার আর লরকান টাকার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ৫৭ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর এবাদতের জোড়া শিকার।
দুই ওভার আগেই তিনটি বাউন্ডারি হজম করেছিলেন এবাদত হোসেন। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান। ইনিংসের ১৯তম ওভারে সেট ব্যাটার লরকান টাকার (৩১ বলে ২৮) এবাদতের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন। পরের বলে জর্জ ডকরেলকে (০) দাঁড়ানোর আগেই বোল্ড করে দেন এবাদত।
এরপর এক ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই শিকার করেন তাসকিনও। ম্যাকব্রিনকে (১) মিডউইকেটে বানান নাসুমের ক্যাচ, মার্ক এডায়ারকে করেন বোল্ড (০)।
এন