tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৪ মার্চ ২০২২, ১৩:৩২ পিএম

ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল খালেক: ডা. শফিকুর রহমান


জামায়াত

সাতক্ষীরা অঞ্চলের গণ-মানুষের প্রিয় নেতা ও সাবেক এমপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাবেক সদস্য, সাতক্ষীরা জেলার সাবেক আমীর, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডলকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনিসহ আটক সকল জামায়াত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বৃহস্পতিবার নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।


বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকার ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে একের পর এক হত্যা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন সাতক্ষীরা জেলার জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক এমপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাবেক সদস্য, সাতক্ষীরা জেলার সাবেক আমীর, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডল। সরকার মিথ্যা, বায়বীয় ও কাল্পনিক অভিযোগে অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে নিজেদের দলীয় লোকদের দ্বারা আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। মাননীয় আদালত সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় সাজানো সাক্ষীর ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ২৪ মার্চ মৃত্যুদণ্ডের যে রায় ঘোষণা করেছেন তা একটি ন্যায়ভ্রষ্ট রায়। এ রায়ে অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডল ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপীল করবেন। উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলে তিনি খালাস পাবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।'

তিনি বলেন, 'সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে আনীত সরকারের অভিযোগের সাথে তাঁর ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতাও নেই। অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডল সাতক্ষীরা অঞ্চলের একজন অবিসংবাদিত নেতা। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বিপুল ভোটে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ছাত্র জীবনের সকল পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। কারাগারের বন্দী জীবনে তিনি কুরআন হিফজ করেন। সাতক্ষীরার মানুষ তাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে। সরকার তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে।

সরকার পক্ষ আদালতে তার বিরুদ্ধে গঠিত অভিযোগের পক্ষে যেসব ডকুমেন্ট দাখিল করেছেন তা সত্য নয়। তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা। সরকার তার বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী তৈরি করে, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায়ে সাজানো মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার ব্যবস্থা করেছে। আমরা অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডলকে হত্যার সরকারি ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।” প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এমআই