tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ১২ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৩ পিএম

সাইপ্রাস থেকে গাজার উদ্দেশে রওনা হলো প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ


open-arms-20240312161450

যুদ্ধে জর্জরিত গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের প্রান্তে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য ২০০ টন খাদ্যদ্রব্যবাহী একটি জাহাজ ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী দেশ সাইপ্রাস থেকে রওনা হয়েছে।


মঙ্গলবার (১২মার্চ) ভোরের দিকে সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর থেকে রওনা দিয়েছে ‘ওপেন আর্মস’ নামের সেই ত্রাণবাহী জাহাজটি।

সাইপ্রাসের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর বেলায় সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ‘ওপেন আর্মস’।

এই জাহাজটির মালিক স্পেনভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘ওপেন আর্মস’। সেখানে যে ২০০ টন ত্রাণসামগ্রী রয়েছে, সেগুলোও পাঠিয়েছে এই সংস্থাটিই। তবে এক্ষেত্রে স্পেনীয় এই সংস্থাটিকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে)।

মঙ্গলবার ডব্লিউসিকের প্রতিষ্ঠাতা জোসে আন্দ্রেস এবং শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা এরিন গোর এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ভূমধ্যসাগরে একটি সামুদ্রিক হাইওয়ে তৈরি করা, যেন গাজায় নিয়মিত ত্রাণ সরবরা পাঠানো যায়।

গাজার ভৌগলিক আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। এ উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিমে ইসরায়েল সীমান্ত, দক্ষিণে মিসর সীমান্ত এবং পূর্বদিকে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত। ২০০৫ সালে হামাস ক্ষমতা দখলের পর থেকে উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিম সীমান্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে। এতদিন পর্যন্ত উপত্যকায় খাদ্য-ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার সরবরাহ দক্ষিণে মিসরীয় সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতো; কিন্তু এখন সেই সীমান্তপথটিও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত ৫ মাস ধরে গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই অভিযানে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হতাহত করার পাশাপাশি সেখানে ত্রাণের সরবরাহ প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।

এদিকে খাদ্য, সুপেয় পানি ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে ইতোমধ্যে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে গাজা উপত্যকায়।

গাজায় কোনো সমুদ্র বন্দর নেই। সেখানকার ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সরবরাহ করার জন্য গাজার উপকূলে একটি অস্থায়ী বন্দর তৈরির কাজ মার্কিন সেনারা শুরু করেছেন বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তবে ওপেন আর্মসের এই ত্রাণবাহী জাহাজটি মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। যে ২০০ টন খাদ্যবস্তু পাঠানো হচ্ছে, তার সবই জোগাড় করা হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে।

ডব্লিউসিকের মঙ্গলবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বিধ্বস্ত বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে আপাতত গাজা উপকূলে একটি কাজ চালানোর মতো জেটি তৈরি করেছেন সেখানকার স্বেচ্ছাসেবকরা। সেখানেই জাহজটি ভিড়বে এবং ত্রাণপণ্যগুলোও খালাস করা হবে সেখানে।

সূত্র : বিবিসি

এসএম