পশ্চিম তীরে সহিংসতাকারীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
Share on:
অধিকৃত পশ্চিম তীরে যারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিদ্যমান ভিসা এবং ভবিষ্যতের আবেদন বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি এমন ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। পশ্চিম তীরে সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বা ফিলিস্তিনি দুপক্ষের জন্যই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা।
নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মিলার আরও বলেন, ইসরায়েলি সরকারের উচিত চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বন্ধ করতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া।
তিনি বলেন, সহিংস বসতি স্থাপনকারীদের সঠিকভাবে বিচারের আওতায় আনার জন্য ইসরায়েলকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
তিনি ফিলিস্তিনিদের কথাও বলেছেন। তার মতে, যারা ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাবে তাদের জন্যও ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
মিলার বলেন, নতুন ভিসা নীতি চালু হচ্ছে। এটা অনেকের জন্যই প্রযোজ্য হতে পারে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরও ভিসা প্রত্যাহার করা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যারা পশ্চিম তীরের শান্তি, নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে তাদের ভিসা বা ভিসার আবেদন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। এখনও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হাজারের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেন, নিহতদের মধ্যে ২৫০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান, অবরুদ্ধ কামাল আদওয়ান হাসপাতালের ভেতর থেকে কথা বলতে গিয়ে জানান, বিপদ সত্ত্বেও চিকিত্সকরা তাদের রোগীদের ছেড়ে যাবেন না।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো অঞ্চলের ভবিষৎ নিয়ে জুয়া খেলছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ বাস্তবায়ন করতেই নেতানিয়াহু এই পথ বেছে নিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসএম