tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
খেলা প্রকাশনার সময়: ১৫ জুন ২০২৩, ১৫:৫৩ পিএম

১৪৬ রানেই শেষ আফগানদের ইনিংস


১

ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা মোটেও সুখকর ছিল না বাংলাদেশ দলের জন্য। আগের দিনের ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দলীয় স্কোরবোর্ডে মাত্র ২০ রান তুলতেই ৩৮২ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান দলও হোঁচট খেয়ে বসে। টাইগার বোলারদের তোপে প্রথম ইনিংসে তারা সংগ্রহ করতে পেরেছে সবকটি উইকেট হারিয়ে মোটে ১৪৬ রান।


সফরকারীদের ফলোঅনে না পাঠিয়ে ফের ব্যাট করতে নেমেছে লিটন দাসের দল। যদিও আফগানদের ফলোঅন এড়াতে প্রয়োজন ছিল ১৮২ রান। তবে সেটা করতে পারেনি দলটির ব্যাটাররা।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিল সফরকারীরা। আফগানিস্তানের ইনিংসের ২য় ওভারের শেষ বলেই উইকেটের দেখা পেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে লিটনের ভুলে তা হয়নি। শরিফুল লেন্থ বল ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে প্রথম স্লিপের দিকে যাচ্ছিল, সেখানে গ্লাভস হাতে লিটন ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলের নাগাল পাননি, আর প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা শান্তকে চেষ্টা করারও সুযোগ দেননি। ফলে অপেক্ষা বাড়ে বাংলাদেশের।

তবে সেটা খুব বেশি দীর্ঘায়িত হতে দেননি শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের ওপর ফুল লেন্থে ছিল, সেখানে ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ বলে ৬ রান।

ইব্রাহিমের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার আব্দুল মালিক। এবাদতের করা ইনিংসের ৭তম ওভারের ৫ম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেন্থে ছিল, সঙ্গে খানিকটা বাড়তি বাউন্স ছিল তাতেই পরাস্ত এই ওপেনার। ১৭ রান করা এই ব্যাটার তৃতীয় স্লিপে জাকির হাসানের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

নতুন বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এবাদত ১২তম আরও একবার আঘাত হানেন আফগান শিবিরে। চতুর্থ বলটি শর্ট লেন্থে করেছিলেন সেখানে বলের লাইন-লেন্থ কিছুই বিচার করতে পারেননি রহমত শাহ। চোখ বুঝে পুল করতে গিয়ে ভুল করেন এই ব্যাটার। বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উপরে ওঠে গেলে মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন তাসকিন।

লাঞ্চ থেকে ফিরেও ভাগ্য বদলাতে পারেনি আফগানরা। দলীয় ৫১ রানের মাথায় অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদীকে ফিরিয়ে দেন শরীফুল। এরপর অবশ্য ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তোলার আভাস দিচ্ছিলেন নাসির জামাল-আফসার জাজাইয়ের পঞ্চম জুটি। তবে ব্যক্তিগত ৩৫ রানে নাসির এবং ৩৬ রানে ফিরে যান জাজাই। এরপর কেবল শেষের অপেক্ষা। দ্রত ফিরে যান ইয়ামিন আহমেদযাঈ এবং আমির হামযা। ৮ উইকেট হারিয়ে দলীয় রান তখন আফগানদের ১২৮।

ফলো-অনের সংখ্যা তখন উঁকি দিচ্ছে। তবে করিম জানাত লড়ে যাচ্ছিলেন সেটা এড়াতে। নবম উইকেট হিসেবে ফেরেন নিজাত মাসুদ। অবশ্য শেষ রক্ষাও হয়নি আফগান ব্যাটার জানাতের, ফিরে যান ২৩ রান করেই মিরাজের বলে আউট হয়ে। এই উইকেটের মাধ্যমে মিরাজ পূর্ণ করেন টেস্ট ক্রিকেটে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক।

এমআই