tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:১৮ পিএম

নির্বাচনকালে কত মন্ত্রীর প্রয়োজন, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী: আইনমন্ত্রী


আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধানে কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। নির্বাচনকালে কতজন মন্ত্রীর প্রয়োজন হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী।


সোমবার ১৭ (অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে আন্তজার্তিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন আইএলওর এদেশীয় পরিচালক টুমো পোটিআইনেন।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচনকালীন তাঁর কতজন মন্ত্রী প্রয়োজন। যদি তাঁর সবার প্রয়োজন হয়, তাহলে সবাই থাকবেন, আর যদি তিনি মনে করেন ছোট আকারে, করতে পারেন। এটি তাঁর সিদ্ধান্ত। সংবিধান তাঁকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।

এ মাসে বসতে যাওয়া সংসদের অধিবেশনে কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, সেটা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইন পাসের পাশাপাশি সব কিছু আলোচনা হতে পারে।

এদিকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০২৩-এর খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আগে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ২০ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরযুক্ত বা তাঁদের সমর্থনসহ আবেদন লাগত। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত খসড়া অনুযায়ী, সেটিকে এখন ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো কারখানায় এখন শ্রমিকের সংখ্যা যদি ৩ হাজারের কম হয়, তাহলে ২০ শতাংশের সমর্থন লাগবে।

আর তিন হাজারের বেশি হলে সেটি ১৫ শতাংশ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলে এবং আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিলে সেখানে তাঁরা করতে পারবেন। এ ছাড়া গ্রুপ অব কোম্পানি হলে ২০ শতাংশ শ্রমিক চাইলে ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে। বর্তমান আইনে ৩০ শতাংশ শ্রমিক চাইলে তা করা যায়।

আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের সংশোধনীর বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কিছু বক্তব্য আছে, সেগুলো নিয়ে তাঁরা এসেছিলেন। কিছু ব্যাপারে সমাধান করা হয়েছে। যেগুলো ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার, তা দেওয়া হয়েছে। আর কিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ হওয়া প্রয়োজন। সেসব নিয়ে ২২ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ে আবার সভা হবে।

এমবি