সময় আছে, ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করুন : মির্জা ফখরুল
Share on:
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সময় আছে, জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। সংসদ বাতিল করে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, অন্যথায় জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের সড়কে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জে যুবদলকর্মী শাওন হত্যার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পার্লামেন্ট, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন, অর্থনীতি ও গণমাধ্যমকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের একটাই লক্ষ্য, ক্ষমতায় টিকে থাকা। স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটি নির্বাচন হয়েছে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে নিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। সেদিনই খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আজ থেকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হলো। এখানে আর সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন আওয়ামী লীগ আবার নতুন করে সম্পূর্ণ পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। বিরোধী দল যাতে কাজ করতে না পারে, তাদের সংবিধানসম্মত যে অধিকার, সেটা যেন আদায় করতে না পারে, মানুষ যেন তাদের ন্যায্য অধিকার পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়, সেই কারণে আবারও তারা বিরোধী দলের ওপর চড়াও হতে শুরু করেছে। ভাঙচুর করছে, গুলি করছে, হত্যা করছে।
তিনি বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। এ পর্যন্ত তারা তিনজনকে হত্যা করেছে, মামলার সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। সেই আগের কায়দায় গায়েবি মামলা। হামলা-মামলা করে তারা আবার একই কায়দায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। মাঠে তারা একাই নির্বাচন করতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কোনোভাবেই এ দানবীয় সরকারকে একতরফা নির্বাচন করতে দেব না। হামলা- মামলা ও অত্যাচার করে মানুষকে হত্যা করার সুযোগ দেব না, লুটপাট করার সুযোগ দেব না। পত্রিকায় এসেছে, এক বছরে পাচার হয় ৮৫ হাজার কোটি টাকা। সেজন্য তাদের বিচার হবে এবং জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমাদুল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নুল আবেদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
এমআই