tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
সারাদেশ প্রকাশনার সময়: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:০৫ পিএম

টানা ৩ দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক সমাগমের আশা


সমুদ্র সৈকত

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে কক্সবাজারে ৩ লাখের বেশি পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।


পর্যটন দিবসকে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী জমকালো আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসক। এরই মধ্যে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে নতুন রূপে সেজেছে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এ আয়োজন চলবে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। এদিকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি এবং ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ৩০ টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। তাই এবার লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটবে এমন আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে তারকা মানের হোটেলগুলোর শতভাগ রুম বুকিং হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য মতে, বিশ্ব পর্যটন দিবসের সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে সার্কাস প্রদর্শনী, বিচ বাইক র‍্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে শো, আতশবাজি, রোড শো, সেমিনার, ঘুড়ি উৎসব, ম্যাজিক শো, ফায়ার স্পিন, লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, ফানুস উৎসব, সার্ফিং প্রদর্শনী, বিচ ম্যারাথন, বিচ ভলিবল, কনসার্ট থাকছে। আর কার্নিভালে দর্শক মাতাবে দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড দল চিরকুট, আভাস, সুনামগঞ্জের শাহ আবদুল করিমের দল, কুষ্টিয়ার লালন গীতির দল, সিলেট, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহের পালা গানের দলসহ জনপ্রিয় ব্যান্ড ও সংগীত শিল্পীরা। নৃত্য পরিবেশন করবেন তিন পার্বত্য জেলা- বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা।

সৈকতে লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, লাবণী মঞ্চের সামনে সড়কের দুপাশে তৈরি হচ্ছে স্টল। হোটেল কল্লোলের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষেও দোকানপাট বসানো হচ্ছে। তিন রাস্তার মুখে বসানো নৌকা থেকে কিছু দূরে নির্মিত হচ্ছে মঞ্চ।

সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা উপলক্ষ্যে হোটেল, মোটেল, পরিবহন ব্যবস্থা ও রেস্তোরাঁর মালিকরাও দিচ্ছেন আকর্ষণীয় ছাড়। হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সকল রেস্তোরাঁয় খাবারের ওপর ও সকল বাস ভাড়ার ওপর ১৫ ও ২০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া হেলিকপ্টারে জয় রাইড, টিউব ভাড়া, কিটকট চেয়ার ভাড়া, প্যারাসেইলিং রাইড, বিচ বাইক, লকার ভাড়া, গাড়ি পার্কিং ছাড়সহ চাঁদের গাড়ি ভাড়া ও বিমান ভাড়াতেও থাকছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা। এরই মধ্যে আগামী ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৩ দিনের ছুটিতে শতভাগ বুকিং হয়েছে বলে জানিয়েছে তারকামানের হোটেলগুলো।

হোটেল সী-গালের ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ রাব্বী বলেন, টানা ছুটি ও সপ্তাহব্যাপি মেলা উপলক্ষ্যে বিশাল ছাড় দেওয়ায় আমাদের হোটেলে শতভাগ বুকিং হয়েছে। আশা করি লাখের অধিক পর্যটক সমাগম হবে।

হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইসের ফ্রন্ট অফিসার একে রানা বলেন, মেলা ও টানা ছুটিতে আমরা ব্যাপকভাবেই পর্যটক সাড়া পেয়েছি। পর্যটকদের বরণ করে নিতে আমরা প্রস্তুত।

প্রশাসন বলছে, উৎসবে ভিন্নতা আনতে আয়োজনে আনা হচ্ছে নতুন মাত্রা। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন স্পট। যা সাজানো হয়েছে রঙ্গিন ছাতায়। একই সঙ্গে সৈকতের বালুকাবেলায় তৈরি হচ্ছে বালু ভাস্কর্য।

ভাস্কর্য শিল্পী শেখ রাসেল বলেন, সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দুটি বালু ভাস্কর্য নির্মিত হবে। একটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অপরটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আশা করি আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ শেষ হবে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, মেলায় পর্যটন বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, ঘুড়ি উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানগেম, ক্ষুদ্র-নৃ-তাত্ত্বিক উৎসব, ফানুস উৎসব, ম্যাজিক শো, আতশবাজি, ডিজে শো ও কনসার্ট। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় মানের তারকা শিল্পীরা অংশ নেবেন। আর মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোতে কক্সবাজারের পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্র তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে থাকবে আচার, শুঁটকি ও পিঠাসহ হরেক রকমের আয়োজন। আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে কক্সবাজারকে পৃথিবীর বুকে পরিচিত করতে চাই।ইতিমধ্যে মেলা উপলক্ষ্যে হোটেলের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। শুধু হোটেল নয় পর্যটক সংশ্লিষ্ট যা আছে সবকিছুতে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিললুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত। পুরো কক্সবাজারের পর্যটক কেন্দ্রগুলো এখন সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত।

এমবি