বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় জামায়াতের প্রতিবাদ

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘২১ নভেম্বর সরকারি এক ঘোষণায় বিদ্যুতের দাম পাইকারি পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের যে দাম ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা, তা বাড়িয়ে বর্তমানে ৬ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। এমনিতেই সারাদেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। লোডশেডিং এর কারণে দেশের কোথাও কোথাও দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। খোদ রাজধানী ঢাকাতেই প্রতিদিন কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেশে বর্তমানে যে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা চলছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবিকা নির্বাহ করা দুঃসহ হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে পাইকারি পর্যায়ে আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা অযৌক্তিক। ’

তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে এমনিতেই অনেক শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যেই শিল্প-কারখানাগুলো থেকে শ্রমিক ছাটাই করা হচ্ছে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে এর প্রভাব দেশের শিল্প-কারখানার উপর আরো ব্যাপকভাবে পড়বে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বহু গুণে বাড়বে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১২ বছরে নয়বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। এ সময় পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিনা ভোটে নির্বাচিত এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ফলে সরকার একতরফাভাবে জনমতের কোনো তোয়াক্কা না করেই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে বিদ্যুতের এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উপর পড়বে। দেশ এক সংকটময় পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাবে। মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান এই নাজুক পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

এমআই