tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪১ পিএম

গাজায় গণহত্যা, জাতিসংঘ কর্মকর্তার পদত্যাগ


un_offisial_20231102_102243140

গাজায় গণহত্যা বন্ধে কিছু করতে না পারায় এবং নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের নিউইয়র্ক দফতরের পরিচালক ক্রেগ মোখিবার। গাজায় গণহত্যা বন্ধে সংস্থাটির অক্ষমতার প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।


এক বিবৃতিতে ক্রেগ বলেন, চোখের সামনে গণহত্যা হতে দেখলেও তা থামাতে পারেনি জাতিসংঘ। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য মানবাধিকারভিত্তিক একক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি। খবর রয়টার্সের

এর আগে সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে করা পোস্টে তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা সরকার যেভাবে ইসরায়েলকে ছাড় দিয়ে যাচ্ছে- তার ফলাফল এই গণহত্যা।

ক্রেগ মওখিবার বলেন, গাজায় ‘গণহত্যার অকাট্য প্রমাণ’ রয়েছে। গত সপ্তাহে দেওয়া পদত্যাগপত্রে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা লিখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের বেশির ভাগ সরকার এই নৃশংস হামলায় সম্পূর্ণভাবে জড়িত।’

ক্রেগ বলেন, ‘জেনেভা কনভেনশনের প্রতি সম্মান নিশ্চিতে চুক্তির প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতাগুলো মানতে এই সরকারগুলো কেবল অস্বীকারই করছে না, বরং তারা প্রকৃতপক্ষে সক্রিয়ভাবে হামলায় অস্ত্র সরবরাহ করছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের নৃশংসতা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে আড়াল করছে।’

ক্রেগ মোখিবার বলেন, ‘এটা বেদনাদায়কভাবে স্পষ্ট হয়ে গেছে, আমরা হত্যাযজ্ঞ প্রতিরোধের বাধ্যবাধকতা পূরণে আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছি…আমরা আবারও ব্যর্থ হচ্ছি।’

এর আগে ইসরায়েলকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা জশ পল। পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, ‘এক পক্ষের প্রতি অন্ধ সমর্থন থেকে বাইডেন প্রশাসন (প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন) এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অদূরদর্শী, ধ্বংসাত্মক ও অন্যায্য। আমরা প্রকাশ্যভাবে যে ধরনের মূল্যবোধের প্রতি সমর্থন দিই, এটা তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আট হাজার ৭৮৬ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তিন হাজার ৬৪৮ জনই শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে দু’হাজার ২৯০ জন নারী আছে।

সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এক হাজার ১২০জন শিশুসহ মোট দু’হাজার ৩০ জন। তারা সবাই নিখোঁজ রয়েছেন।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার ১৩০ প্যারামেডিক এবং মেডিকেল ক্রু নিহত হয়েছেন। সেখানে ২৮টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস হয়েছে এবং ২৭০টিরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বিমান হামলা হয়।

এনএইচ