tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
বিনোদন প্রকাশনার সময়: ১৭ মার্চ ২০২৩, ২১:২৯ পিএম

মীমাংসার টেবিলে শাকিব, অনড় অবস্থানে প্রযোজক


৮

‘ধর্ষণ’সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সমিতিতে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ। গতকাল বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার জন্য এক টেবিলে বসেন দুই পক্ষ। জানা গেছে, শাকিব মীমাংসা চাইলেও অনড় অবস্থানে রয়েছেন প্রযোজক।


প্রযোজকের দাবি, শাকিব নিজেই উদ্যোগী হয়ে তার সঙ্গে মীমাংসায় বসতে চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৫টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী চলে এই মীমাংসা আলোচনা পর্ব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মীমাংসায় কী হলো? জানতে চাইলে প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ বলেন, “আমরা বসেছিলাম। কিন্তু ঘটনার এখনো কোনো মীমাংসা হয়নি। তবে শাকিব আমাকে আলোচনার মাধ্যমে আশ্বাস দিয়েছেন, হয়তো তিনি ছবি করে দেবেন অথবা তিনি বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত দেবেন। তখন আমি তাকে বলেছি, অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। এখন আর আমি ছবিটি করব না। তখন শাকিব খান নিজ থেকেই বলেছেন, ‘আমরা প্রযোজক খুঁজে সিনেমাটির কাজ শেষ করব।”

প্রযোজক দাবি করেন, শাকিব খান ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি আছেন। তিনি এ সময় জানান, তার সিনেমায় লগ্নিকৃত অর্থের পরিমাণ ২ কোটি টাকা।

মীমাংসা আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমরা বিকেল ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত মীমাংসার জন্য বসেছিলাম। আমাদের আলোচনা সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো উপসংহারে পৌঁছাইনি। অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। আমরা আজও বসব। আমরা চেষ্টা করব, ঘটনার মীমাংসা করার।’

এর আগে প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ তার অভিযোগে জানান, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার দৃশ্যধারণের সময় এক নারী সহপ্রযোজককে ‘ধর্ষণ’ করেন শাকিব খান। এরপর তিনি দেশে পালিয়ে আসেন। শাকিব খানের বিরুদ্ধে সেই ভুক্তভোগী অস্ট্রেলিয়া পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। সেই অভিযোগে নিজেকে একজন সাক্ষী হিসেবে দাবি করেন রহমত উল্ল্যাহ।

উল্লেখ্য, আশিকুর রহমানের পরিচালনায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবিতে শাকিবের বিপরীতে নায়িকা ছিলেন নবাগত সিবা আলী খান। সেসময় ছবিটির টিজার অন্তর্জালে বেশ ঝড় তোলে। ছবিটি ঘিরে ভক্ত-দর্শকের আলাদা উন্মাদনা থাকলেও পরে আর আলোর মুখ দেখেনি।

এমআই