tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
খেলা প্রকাশনার সময়: ১১ মে ২০২৩, ১৩:৫৮ পিএম

আইসিসির নতুন অর্থনৈতিক মডেল প্রস্তাব


৩১

২০২৪ থেকে ২০২৭- এই চার বছরের জন্য রাজস্ব বন্টনে নতুন অর্থনৈতিক মডেল দাঁড় করিয়েছে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসি। এই মডেলের অধীনে নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বছর কোন দেশ আইসিসির রাজস্ব আয়ের কত ভাগ পেয়ে থাকবে। টেস্ট খেলুড়ে দেশ তথা আইসিসি পূর্ণ সদস্য এবং যারা টেস্ট খেলে না, সেই সহযোগি দেশগুলোর জন্যও নির্ধারণ করা হয়েছে রাজস্ব বন্টনের হার।


এবারও দেখা যাচ্ছে, নতুন এই অর্থনৈতিক মডেল থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসির রাজস্ব আয়ের প্রায় ৪০ ভাগই পাবে ভারতীয়রা। নতুন এই প্রস্তাব এখনও পাস হয়নি। তবে, তার আগেই প্রকাশ করেছে ইএসপিএন ক্রিকনইনফো। আগের মডেলেও ঠিক একইভাবে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পেয়েছিলো বিসিসিআই।

এবার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাতে ভারত প্রতি বছর অন্তত ২৩০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২ হাজার ৪৬১ কোটি ১৩ লাখ টাকা) পাবে। যা আইসিসির রাজস্ব আয়ের ৩৮.৫ ভাগ। অন্য দেশগুলোর চেয়ে নিঃসন্দেহে যা অনেক বেশি। ভারতীয় বোর্ড সব সময় বেশি অর্থ দাবি করছে, কারণ তাদের দাবি- তারাই নাকি ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আর্থিক অবদান রাখে।

আইসিসি প্রতিবছর আয় করে ৬০০ মিলিয়ন ডলার (৬ হাজার ৪২১ কোটি টাকা প্রায়)। এর মধ্যে ১২টি পূর্ণ সদস্য দেশ পাবে ৫৩২.৮৪ মিলিয়ন ডলার, যা পুরো আয়ের ৮৮.৮১ ভাগ। বাকি ৬৭.১৬ মিলিয়ন ডলার বা ১১.১৯ ভাগ রাজস্ব ব্যায় করা হবে আইসিসির সহযোগি দেশগুলোর জন্য।

আইসিসির থেকে রাজস্ব পাওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তারা পাবে ৬.৮৯ শতাংশ অর্থাৎ ৪১.৩৩ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪৪৩ কোটি টাকা)। অস্ট্রেলিয়া পাবে ৬.২৫ শতাংশ, ৩৭.৫৩ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪০২ কোটি টাকা প্রায়)। এরপর রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তারা ভাগ পাবে ৫.৭৫ শতাংশ হিসেবে ৩৪.৫১ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা।

অন্য দেশের বোর্ডগুলো আরও কম টাকা পাবে। নিউজিল্যান্ড পাবে ৪.৭৩% হারে ২৮.৩৮ মিলিয়ন ডলার বা ৩০৪ কোটি টাকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেতে পারে ৪.৫৮% হারে ২৭.৫০ মিলিয়ন ডলার বা ২৯৫ কোটি টাকা। শ্রীলঙ্কা পেতে পারে ৪.৫২% হারে ২৭.১২ মিলিয়ন ডলার বা ২৯০ কোটি ২০ লাখ টাকা।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে অষ্টম স্থানে। বিসিবি আইসিসি থেকে ৪.৪৬% হারে ২৬.৭৪ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের চেয়েও পিছিয়ে। তারা পেতে পারে ৪.৩৭% হারে ২৬.২৪ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২৮১ কোটি টাকা।

আয়ারল্যান্ডের জন্য বরাদ্ধ করা হয়েছে ৩.০১% হারে ১৮.০৪ মিলিয়ন ডলার বা ১৯৩ কোটি টাকা। জিম্বাবুয়ের জন্য বরাদ্ধ করা হয়েছে ২.৯৪% হারে ১৭.৬৪ মিলিয়ন ডলার বা ১৮৯ কোটি টাকা প্রায়। সবচেয়ে কম পাবে আফগানিস্তান। তাদের জন্য বরাদ্ধ ২.৮০% হারে ১৬.৮২ মিলিয়ন ডলার বা ১৮০ কোটি টাকা প্রায়।

তবে নতুন এই ফাইনান্সিয়াল মডেল এখনও আইসিসি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

এমআই