জিয়াউর রহমান স্বৈরাচার ছিলেন খুনি ছিলেন : সজীব ওয়াজেদ
Share on:
জিয়াউর রহমানের আমল আমাদের দেশের বিরাট একটা কালো দাগ ছিল। আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে, তারা এটা বলে না জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি তখন কত হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে বিচার ছাড়া। তাদের লাশ পর্যন্ত পাওয়া যায় না আজ পর্যন্ত। এই হলো বিএনপি। এটা কী গণতান্ত্রিক দল? না, এটা একটা সন্ত্রাসী দল। এটা একটি খুনিদের দল। জিয়াউর রহমান স্বৈরাচার ছিলেন, জিয়াউর রহমান খুনি ছিলেন।
বেশ দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত লেটস টক এ কথাগুলো বলেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে বিনা বিচারে হত্যার শিকার এক তরুণ বিচারের দাবি করলে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
১৯৭৫ সালে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হারিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ। তার মা ও খালা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান এই হত্যাযজ্ঞ থেকে। এরপর দীর্ঘদিন দেশের বাইরে নির্বাসিত থাকতে হয়েছে তাকে পুরো পরিবার নিয়ে।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে যেই হত্যার রাজনীতির সূচনা হয় তা বহুগুণে বেড়ে যায় জিয়াউর রহমানের শাসনামলে। প্রায় ১ হাজারের বেশি সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন তিনি প্রহসনের বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে। অনেক সেনা কর্মকর্তা সামরিক অভ্যুত্থানের সময় নিজ বাড়িতে থাকার পরও তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়।
লেটস টকে উপস্থিত জিয়াউর রহমানের হত্যার শিকার পরিবারের এক তরুণ কাঁপা গলায় জানতে চান, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিনা বিচারে গণ ফাঁসি দিয়ে তার চাচা এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এর বিচার কি কখনো পাওয়া যাবে না?
বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমরা বিচার করার চেষ্টা করছি। এটা একটা কঠিন বিষয়। কারণ, তখন থেকে অনেক রেকর্ডস নাই, তথ্য নেই। তারা তো সব মুছে ফেলেছে। যেভাবেই হোক, তাদের আমরা বিচার করার চেষ্টা করেই যাচ্ছি।
এ সময় আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদ আর দুর্নীতির বিচার করতে গেলেও এখন বিদেশিরা বলছে মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাদের বাঁচাতে ব্যস্ত বিদেশিরা। আমি তরুণদের বলব, যারা বিএনপি-জামায়াতকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে, তাদের কথা যখনই শুনবেন প্রতিবাদ করবেন। বলবেন, জিয়াউর রহমান খুনি ও বিএনপি জঙ্গিদল, তাদের পক্ষে কেন কথা বলছ তোমরা? তোমরা বিদেশিরা মানবাধিকারের কথা বলছ, তোমরা বিদেশিরা তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার আগে করো। তখন তোমাদের কথায় বিশ্বাস করব।
দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে তরুণদের সেতুবন্ধন গড়ে দিতে ২০১৪ সাল থেকে ইয়াং বাংলা ‘লেটস টক’ শিরোনামে এ আয়োজন করছে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও আয়োজন করা হয় লেটস টক যেখানে দেশ নিয়ে তরুণদের ভাবনার কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে তরুণদের নিয়ে তার ভাবনার কথাও জানান এই অনুষ্ঠানে। লেটস টক অনুষ্ঠানের ৫১তম পর্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ তরুণদের দেশ ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন সজীব ওয়াজেদ।
এমএইচ