tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ২৬ অগাস্ট ২০২২, ১১:১৫ এএম

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি


pm_mom2022

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েই ভারতের দিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে পারেন দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।


বস্তুত এই কারণে তিন বছর পর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকে থাকার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে মোদি সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিল্লিতে যে মমতা যাচ্ছেন তা কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর অফিস সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ঠিক কবে যাবেন তা নিশ্চিত নয়।

গত মাসেই মমতাকে লেখা চিঠিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতে আসছেন এবং তিনি আশা করেন সেই সফরে তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা হবে। আসলে দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতার বৈঠক হোক এবং তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি না হলেও অন্য নদীগুলো নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চূড়ান্ত করতে চায় দুই দেশই।

শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে তিস্তাসহ একাধিক নদীর পানিবণ্টন চুক্তি, সীমান্ত সমস্যা ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর তিনি দিল্লিতে পা রাখবেন। শেখ হাসিনার এই সফরে দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা। যার মধ্যে অন্যতম নদী চুক্তি।

তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫৪টি নদীর মধ্যে ৬টি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ। এই সবকটি বিষয়ের সঙ্গেই জড়িত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

কলকাতায় নবান্ন সূত্রের খবর, এখনো রাজ্য সরকারের কাছে দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসার কোনো আমন্ত্রণ এসে পৌঁছেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের আমন্ত্রণ পেলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও দিল্লি সফরের কথা বিবেচনা করবেন। আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে অসম ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীদেরও।

এমনিতে শেখ হাসিনা এবং মমতা ব্যানার্জির সম্পর্ক পুরোপুরি দিদি-বোনের। পরস্পরের মধ্যে স্নেহ-শ্রদ্ধা-ভালোবাসার এক স্বতঃস্ফূর্ত বন্ধন রয়েছে। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই বাংলার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনো অটুট। আর তাই এবারের ভারত সফরেও শেখ হাসিনা ছোট বোন মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী।

সূত্রের খবর, মমতার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষ উপহারও নিয়ে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

ভারত থেকে বাংলাদেশ ফেরার পরই শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে রওনা হবেন। জাতিসংঘে বক্তব্যে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ যে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভার বহন করছে তা উল্লেখ করবেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক লাভ অনেকখানি। শেখ হাসিনা ভারতে আসার ঠিক আগে, ইতোমধ্যে নয়াদিল্লিতে শেষ হয়েছে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক।

এইচএন