tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ১৩ অগাস্ট ২০২৩, ২০:৫৭ পিএম

নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে: তাজুল ইসলাম


৪

নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশে ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম হবে না।


রোববার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি কেন বাতিল হয়েছে তা বিএনপি নিজের চেহারা নিজে আয়নাতে দেখলেই বুঝতে পারার কথা। এ দেশের মানুষের ওপর নির্ভর না করে তারা বিদেশি শক্তির সাহায্যে ক্ষমতায় আসার স্বপ্নে বিভোর।

অগ্নিসন্ত্রাস, অরাজকতা ও নৈরাজ্য এ দেশের মানুষ আর মেনে নেবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের অধিকাংশ মানুষের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অটল বিশ্বাস রয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে দেশ কতটুকু উন্নত হয়েছে আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতির তুলনামূলক চিত্রই বলে দেয় বাংলাদেশের রূপান্তরের ম্যাজিক।

মন্ত্রী বলেন, খাদ্য ঘাটতি ও বিদ্যুৎ ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাঙালি জাতি এগিয়ে চলছিল তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ দিতে হয় বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের। নির্মম এ হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকেই স্তব্ধ করে দেয়নি, বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থার শৃঙ্খলা এবং ধারাবাহিকতাকেও সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ করে দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আবারো অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াই করছে তখনো আমাদের সমাজের একটি অংশ আল বদর, রাজাকার বাহিনীতে নাম লিখিয়েছিল। তারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে এ দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। সেই পক্ষ এখনো বাংলাদেশের উন্নয়নের বিরোধিতা করে যাচ্ছে। সরকারের তথ্য উপাত্ত না হয় বাদই দিলাম, বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ক বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের তথ্য উপাত্তও তারা বিশ্বাস করছে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সারোয়ার হোসেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিয়া।

এমআই