আ.লীগ নেতা জসিম উদ্দিনকে মারধর, কাউন্সিলরকে আসামি করে মামলা
Share on:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনকে মারধর করার ঘটনায় একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হক ওরফে আবুলকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বুধবার রাতে জসিম উদ্দিনের মেয়ে সিবা আক্তার যূথী বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন।
এর আগে মেয়ে সিবা আক্তারের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাবা জসিম উদ্দিন মারধরের শিকার হন। স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ১৬ আগস্ট রাতে জসিম উদ্দিনকে মারধর করার অভিযোগ এনে একই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সিবা আক্তার। এ বিষয়ে পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া আজ বৃহস্পতিবার জানান, জসিম উদ্দিনের মেয়ে বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
সিবা আক্তারকে পল্টন থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কাউন্সিলরের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য লিখে পোস্ট করেন বলে অভিযোগ সিবা আক্তারের।
এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তার বাবা জসিম উদ্দিন এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিসিইউতে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সিবা আক্তার। মামলার এজাহারে সিবা আক্তার উল্লেখ করেন, ১৬ আগস্ট তিনি পল্টন মডেল থানার মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর বিবাদী মিরন, রানা, রাশেদ ও রায়হান তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলেন এবং পোস্ট করেন।
তর বাবা জসিম উদ্দিন এ বিষয় নিয়ে ১৬ আগস্ট রাত পৌনে ১২টার দিকে শান্তিনগর এলাকার হোয়াইট হাউসের ভেতরে মিরন, রানা, রাশেদ ও রায়হানদের পেয়ে বাজে মন্তব্য না করার অনুরোধ করলে তাঁরা বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে মামলার এক নম্বর আসামি তথা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হক ওরফে আবুলের নির্দেশে তাঁর বাবাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। সেখান থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এলে তারা বাবার পথরোধ করে এলোপাতাড়িভাবে কিলঘুষি মারতে থাকেন।
একপর্যায়ে বাবা রাস্তায় পড়ে গেলে বিবাদীরা মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বুকের ওপর উঠে লাথি মারলে পাঁজরের হাড় সরে যায়। এ সময় তার বাবার চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এলে বিবাদীরা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যান। আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলে পথচারীরা প্রথমে কাকরাইলে একটি হাসপাতালে তার বাবাকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
তার বাবা বর্তমানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন আলী রেজা খান, এনামুল হক পান্না, নাজমুল হোসাইন, রাশেদুল আলম, শামছুল আলম, শফিউল আজম, মঞ্জুরুল হক, শাহ আলম, এইচ এম রায়হানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ছয় থেকে সাতজন।