দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীগণের ভূমিকা অনস্বীকার্য
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আজ ১০ সেপ্টেম্বর’২২, শনিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ঢাকা জজ কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবীদের নিয়ে দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত আলোচকবৃন্দ বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীগণের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ফলে ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিজ্ঞ আইনজীবীগণকে সম্মুখে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
আইনজীবীদের কর্মশালায় আলোচনা পেশ করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মু. নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী নেতা এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আবদুস সবুর ফকির।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন ও ড. আব্দুল মান্নান।
সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা জজকোর্ট এর আইনজীবী নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে এডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, এডভোকেট ইউসুফ আলী, এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, এডভোকেট সাইফুর রহমান, এডভোকেট লুৎফর রহমান, এডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক সহ বিভিন্ন আইনজীবী নেতৃবৃন্দ।
এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ভালো মানুষ হিসেবে এবং একজন সত্যিকার মুসলমানকে জীবনের প্রত্যেকটা মুহুর্ত তওবার মধ্যে থাকতে হবে। আল্লাহর দেওয়া সীমা রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য পূর্ণ পেশাদারিত্বের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। আইনজীবীদের মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে সবক্ষেত্রে। আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে আইন অঙ্গনে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অটটু রাখতে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সৃজনশীল কর্মসূচী নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করতে হবে।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সমাজের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধি বাড়াতে আইনজীবীদের প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে আইনজীবীদের ব্যক্তি ইচ্ছা বা ভূমিকা অগ্রগণ্য। নিজ কাজের উপর ভিত্তি করে একজন আইনজীবী সমাজের জন্য অনুসরণীয় ব্যাক্তি হিসেবে অধিষ্ঠিত হতে পারেন। নিজ পেশাকে ইবাদত হিসেবে নিলে সেই লক্ষ্য সহজে পূরণ করা সম্ভব।
এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, ন্যায়-ইনসাফ তথা ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই সবখানে আজ সাধারণ মানুষ জুলুমের শিকার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। সমাজের মজলুম মানুষকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে এই জীবনই শেষ জীবন নয়, মৃত্যুর পরও দীর্ঘ একটি জীবন রয়েছে। ইহকালীন সাফল্য ও পরকালীন মুক্তির স্বার্থেই ইনসাফভিত্তিক ন্যায়বিচারের কাজে সকলের মনোনিবেশ করা উচিত।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমাদের প্রধান পরিচয় মানুষ। আল্লাহ মানুষকে জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেক দিয়েছেন বলেই সে মানুষ। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠজীব। মানুষ যখন বিবেক হারিয়ে ফেলে তখন আর মানুষ থাকেনা। আমাদেরকে সত্যিকার মানুষ হবার চেষ্টা করতে হবে। সেই সাথে আমরা আইনজীবী। নিজেদেরকে পেশাদার আইনজীবী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ আজ এক কঠিন সময় পার করছে। দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার বলতে কিছু নেই। মানবাধিকার আজ ভু-লুন্ঠিত। সর্বোপরি মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আইনজীবী হিসেবে নিজেদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
এন