tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:১৮ পিএম

সোমবার জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা


Jamaat

সারাদেশে পুলিশের হামলা, গ্রেফতার, জুলুম-নির্যাতন ও একদলীয় নির্বাচনের প্রতিবাদে ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।


শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী সরকারের একদলীয় নির্বাচন ও সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলায় ও আদেশ, নিম্ন আদালতে বিচারের নামে প্রহসন ও একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি ও ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আগামী ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সারাদেশে সকাল-সন্ধা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এটিএম মা’ছুম বলেন,ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করে আন্দোলনকে চূড়ান্ত লক্ষে ̈ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন ̈ আমি জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং সংগ্রামী দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।”

ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন জালিম সরকারের দুঃশাসনে জনগণ অতিষ্ঠ। আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তির জন ̈ গোটা জাতি আজ ঐক ̈বদ্ধ। ক্ষমতালোভী সরকার গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। লুটপাট করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আজ দেশে নাগরিকদের জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নেই। মানুষকে কথাবলতে দেয়া হচ্ছে না। মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত। এমতাব ̄অবস্থায় দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে জামায়াতসহ বিরোধীদল গুলো গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় নিয়মতান্ত্রিকপন্থায় আন্দোলন করছে।

ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি বলেন, দেশবাসী এ আন্দোলনে ̄স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে স্বৈরাচারী সরকারের ভীত নড়ে উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ কঠোর দমনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি দিয়েছেন, তা সংবিধান ও গণতন্ত্র বিরোধী। এই ঘোষণা দিয়ে তিনি মূলত জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ পূর্বপরিকল্পিতভাবে একজোট হয়ে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে ছাত্রশিবিরের শান্তিপূর্ণ বিজয় র‌্যালিতে ন্যক্কারজনকভাবে হামলা চালিয়েছে এবং পুলিশ ১১ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। এই হামলার মাধ্যমে পুলিশ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে এবংবিজয় দিবসের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। পুলিশের এই ঘৃণ্য আচরণ অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত। আমরা এর ধিক্কার জানাই।

অপরদিকে গত ৪ দিনে দেশের বিভিন্ন ̄স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৫৭

জন নেতাকর্মীকের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সরকারের এসব জুলুম-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি