পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ে বিশ্বকাপ শুরু ক্যারিবিয়ানদের
Share on:
একটা সময় ক্রিকেটের টেস্ট ও ওয়ানডে রাজত্ব করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সময়ের বিবর্তনে এই দুই ফরম্যাটে আভিজাত্য হারালেও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেয় ক্যারিবীয়রা। ইংল্যান্ডের সমান রেকর্ড দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে তারা। তবে ছোট ফরমেটের ক্রিকেট যত জনপ্রিয় আর চাকচিক্য হয়েছে, ততই ধার হারিয়েছে উইন্ডিজ।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলোতে উইন্ডিজের ক্রিকেটারদের আধিপত্য বাড়লেও ক্রমে তলানিতে নেমেছে জাতীয় দলের সাফল্য। এবার ঘরের মাঠ বিশ্বকাপের মঞ্চ উইন্ডিজদের। নবম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে পুচকে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে মাঠে নেমে ৫ উইকেটের কষ্টয়ার্জিত জয় পায় ক্যারিবিয়ানরা।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে উন্ডিজদের সামনে ১৩৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় পাপুয়া নিউগিনি। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে স্বাগতিকরা।
১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শুরুতেই রানার খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জনসন চালর্স। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট হাতে আসেন পুরান। তাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার ব্যান্ডন কিং। এই দুই জনের জুটিতে পাওয়ার প্লেতে ৫২ রান যোগ করে উইন্ডিজরা।
তবে দলীয় ৬১ রানে পুরান আউট হলে ভাঙে এই জুটি। সাজঘরে যাবার আগে ২৭ বলে ২৭ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর দ্রুত ফেরেন তার সঙ্গী কিং ও। ২৯ বলে ৩৪ রান করেন তিনি। এরপর ক্যারিবিয়ান শিবিরে হাল ধরেন রভম্যান পাওয়েল এবং রোসটন চেজ।
তবে দলীয় ৮৫ রানে পাওয়েল ও ৯৭ রানে শেরফানে রাদারফোর্ড আউট হলে চাপে পড়ে স্বাগকিরা। তবে শেষ দিকে দলের হাল ধরেন রাসেল এবং চেজ। রাসেলের ৯ বলের ১৫ রান এবং চেজের ২৭ বলের অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংসে ভর ৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় উইন্ডিজরা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে সিসে বাউয়ের ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে পাপুয়া নিউগিনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ বলে ৫০ রান করেন সিসে। এছাড়া অধিনায়ক আসাদ ভালা করেন ২২ বলে ২১ রান। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ও আলজারি জোসেপ।
এনএইচ