নৌকায় সিল, তদন্তের শুরুতে ২৫ জনকেই তলব
Share on:
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের শূন্যপদে উপনির্বাচনে ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় অনবরত সিল মারার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে পৃথকভাবে তিন বিভাগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
বুধবার পৃথকভাবে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও উপনির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এতে সংশ্লিষ্ট দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোটগ্রহণকারী ২৫ জনকেই তলব করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
বুধবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু বকর ছিদ্দিক, রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, ৫ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে একটি পৌরসভা ও ১২ ইউনিয়নের ১১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। এরমধ্যে সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আজাদ হোসেন ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় অনবরত সিল মেরে জাল ভোট দেন।
পরদিন সকাল থেকে ঘটনাটির ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে ঘটনাটি পৃথকভাবে তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে ৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও লক্ষ্মীপুর সোনালী ব্যাংক শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) কর্মকর্তা নুর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩২০ জন ভোটার ছিলেন। ১ হাজার ৫৫২ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩২ ভোট বাতিল হয়েছে। ব্যালট বইয়ে নৌকায় মার্কায় অনবরত সিল মারার ঘটনাটি তার নজরে পড়েনি। পরে ভিডিওতে তিনি দেখেছেন। ঘটনাটি তদন্তের জন্য তাকেসহ ওই কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে ডেকেছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা এক চিঠিতে আমাকে দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন থেকে উপনির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে পৃথকভাবে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে আমাকে দেওয়া নির্দেশনাটি বাতিল করা হয়েছে।