সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
Share on:
সৌদি আরবের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে শুক্রবার (৯ আগস্ট) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তারা বলেছে, ইয়েমেন ব্যাপক প্রাণহানি বন্ধ করতে দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগ করতে তিন বছর আগে ওয়াশিংটন ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। খবর রয়টার্সের।
২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশেষ করে ইয়েমেনে ইরানপন্থী হুতি বিদ্রোহীদের ওপর সৌদি সামরিক অভিযানে ব্যাপক প্রাণহানি এবং রিয়াদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড নিয়ে নাখোশ ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড নিয়েও সৌদির বিরুদ্ধে সরব ছিল মার্কিন প্রশাসন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সৌদি আরব থেকে স্থল যুদ্ধাস্ত্র স্থানান্তরের ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন এই সপ্তাহে কংগ্রেসকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করেছে।
তারা জানিয়েছে, খুব শিগগিরই তারা সৌদির সঙ্গে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে আলোচনা করে চুক্তি সই করবে। মার্কিন আইনের অধীনে, বড় আন্তর্জাতিক অস্ত্র চুক্তিগুলো চূড়ান্ত হওয়ার আগে কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে পর্যালোচনা করতে হয়। ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান আইন প্রণেতারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরবকে আক্রমণাত্মক অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইয়েমেনে এর প্রচারাভিযানের বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি এবং বিভিন্ন মানবাধিকার উদ্বেগসহ বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন তারা। কিন্তু গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর এবং ইয়েমেনে অভিযান পরিচালনার পরিবর্তনের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তির মধ্যে সেই বিরোধিতা নরম হয়েছে।
এনএইচ