প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ৩ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে
Share on:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর টাকা-রুপিতে লেনদেন সুগম করা, কৃষি খাতে গবেষণা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বিষয়ে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।
দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বিদ্যুৎ ও রেলপথের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফর উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। এসব সমঝোতা স্মারকগুলো হলো কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দু’দেশের সাধারণ নাগরিকদের লেনদেন সহজীকরণ।
আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক পর্যায়ে সুগভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, বিভিন্ন সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমমনা অবস্থান দুই দেশের সম্পর্ককে গভীরতর করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক অভাবনীয় গতি লাভ করেছে, যা ‘সোনালি অধ্যায়’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, বাংলাদেশকে অন্যতম বন্ধুপ্রতীম এবং সহযোগী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে, যা জি-২০-তে বাংলাদেশের ‘অতিথি রাষ্ট্র’ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে সরকারের অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতি। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্যসাধারণ অভিজ্ঞতা হবে এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা ছাড়বেন। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে অতিথি রাষ্ট্র বাংলাদেশ দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বাসভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
এবি