নিজেদের পশ্চিম এশিয়ার প্রধান প্রতিরক্ষা শক্তি দাবি ইরানের
Share on:
বর্তমানে নিজেদের পশ্চিম এশিয়ার প্রধান প্রতিরক্ষা শক্তি দাবি করছে ইরান। নিজেদের বিশাল প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও যুদ্ধ প্রস্তুতির প্রতি ইঙ্গিত করে ইরানের একজন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, এই কৌশলগত অঞ্চলে ইরান এক নম্বর প্রতিরক্ষা শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজা তালায়ি-নিক রবিবার পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন।
১৯৮০’র দশকে ইরানের ওপর ইরাকের চাপিয়ে দেওয়া আট বছরের যুদ্ধকে ইরানে ‘পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধ’ বলা হয়। রবিবারের অনুষ্ঠানটি ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হামেদান প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়। জেনারেল তালায়ি-নিক বলেন, “আজ ইরান এ অঞ্চলের প্রধান প্রতিরক্ষা শক্তি।”
ইরাক-ইরান যুদ্ধের কথা স্মরণ করে তিনি আরো বলেন, “ওই যুদ্ধের আগে আমরা আমাদের মতো করে ছিলাম। কিন্তু আজ শত্রুরাই বলছে, ইরান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির ভারসাম্য সম্ভব নয়; আর এটি সেই প্রতিরক্ষা শক্তি যা ইরান অর্জন করেছে।”
ইরানের বিরুদ্ধে নানামুখী হুমকির কথা উল্লেখ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি আজ এদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
ইরান সম্প্রতি কাসেম সোলেইমানির নামে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ১,৪০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের কথা ঘোষণা করে। নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম ১১ মিটার লম্বা ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন সাত টনের বেশি এবং এটি ৫০০ কেজি ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে ১১ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং যেকোনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে অতি নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। সূত্র: প্রেসটিভি
এনএইচ