সাংবাদিকের ওপর হামলা: অভিযুক্তদের বহিষ্কার ও গ্রেফতার দাবি

এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের কলেজ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে।

শনিবার (২৩ মার্চ) সংগঠনের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খান এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাব্বির আহমেদ একজন পেশাদার সাংবাদিক ও তিতুমীর কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। গণমাধ্যমের খবর তার সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিপার্টমেন্টের সাবেক শিক্ষার্থীদের ইফতার মাহফিল থেকে অফিসে যাওয়ার পথে তিতুমীর কলেজের আক্কাছুর রহমান আঁখি হলের সামনের প্রধান সড়কে সাব্বিরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্রসহ ১০-১৫ জন মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে তার ওপর হামলা করে। এতে তার পিঠ, ঘাড়, হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম হয়েছে। হামলাকারীরা তাকে জানে মেরে ফেলা হবে বলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে।

সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে হত্যার উদ্দেশ্যে কাপুরুষোচিত এ হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ হামলার জন্য শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নাম এসেছে। তাদের একজনকে ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সাব্বির আহমেদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ ও কলেজ প্রশাসন কোনভাবে দায় এড়াতে পারে না। ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন হিসাবে ছাত্রলীগ তার ভাবমূর্তি ফেরাতে তদন্ত ও শুদ্ধি অভিযান করে মূলহোতাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। অভিযুক্তদের কলেজ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে।

এনএইচ