কিছু মানুষ কেআইবি দখল করে রেখেছে : কৃষিমন্ত্রী
Share on:
কৃষি খাতের প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর যোগ্য লিডারশিপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেছেন, ‘কোয়ালিাটি লিডারশিপ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি মনে করি শুধু সিনিয়রিটি নয়, যার মধ্যে লিডারশিপ আছে তিনিই প্রতিষ্ঠানের ডিজি (মহাপরিচালক) হওয়ার যোগ্য। আমাদের পেশাজীবী সংগঠন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) রয়েছে। তিন বছর ধরে লিডারশিপ নেই। ভঙ্গুর অবস্থা। কিছু মানুষ এটা দখল করে রেখেছে। কৃষিমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমার কষ্ট হয়, একটা জাত উদ্ভাবনের পরে তা যথাসময়ে মাঠে যায় না। সেটা ধানবীজ হোক বা অন্য কিছু। এটা কেন? জাত আবিষ্কারের পর কেন এতো সময় লাগবে মাঠে সম্প্রসারণ হতে?’
শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বছরব্যাপী পুষ্টিকর ও উচ্চমূল্যের ফল উৎপাদন’ শীর্ষক সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব এগ্রিকালচার (বাগ), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন ওই সেমিনারের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি সম্প্রসারণসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অনেক ভূমিকা রাখছে। তবে আরো ভূমিকা রাখা দরকার। আরো লিডারশিপ দরকার। লিডারশিপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বারি’র ডিজি কে হবেন, অভিজ্ঞ ও সিনিয়রিটি দেখা হয়। আমি মনে করি না কোনো প্রতিষ্ঠানের ডিজি (মহাপরিচালক) শুধু সিনিয়রিটির ভিত্তিতে হওয়া উচিত। তার পেশাগত অভিজ্ঞতা, নলেজের পাশাপাশি লিডারশিপ কোয়ালিটিও দেখা উচিত। এগুলো যার মধ্যে আছে তিনিই যোগ্য, তার ডিজি হওয়া উচিত। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। আমাদের এ রকম আরো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমাদের পেশাজীবী সংগঠন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) রয়েছে। তিন বছর ধরে লিডারশিপ নেই। ভঙ্গুর অবস্থা। কিছু মানুষ এটা দখল করে রেখেছে। তাদের মধ্যে কারো কারো সরকারেও ভালো অবস্থান আছে, ভালো পদে আছেন। কিন্তু তাদের দুর্বল নেতৃত্ব। আতাউর রহমান খানের মতো আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা দুর্বল মেরুদন্ডের কারণে হারিয়ে গেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শক্ত মেরুদন্ডের কারণে লিডারশিপের কারণে একটা দেশকে স্বাধীনতা এনে দিতে পেরেছেন। কৃষিবিদ বা আমাদের প্রফেশনাল এসোসিয়েশনগুলোতেও এটা প্রযোজ্য। আমি বলছি না যে, আমি বঙ্গবন্ধু হবো। কিন্তু সবারই লিডারশিপে মেরুদন্ড থাকা দরকার, সাহস থাকা দরকা
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীতে খাদ্য সঙ্কট রয়েছে। খাদ্যনিরাপত্তা একটা আন্তর্জাতিক বিষয়, যেটা এই মুহূর্তে সারা পৃথিবী মোকাবেলা করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব বলে গত ১৩ বছরে দেশে কোনো মঙ্গা হয়নি। এ সরকার দেশ থেকে মঙ্গাকে চিরতরে দূর করে দিয়েছে। এরপরও খাদ্য মূল্যস্ফীতি একটু বাড়লে বিরোধিতা করা হয়। ২০০৯ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ শতাংশ এর বেশি। বিগত ১৩ বছর ধরে একটানা আমরা মূল্যস্ফীতির হার ছয় শতাংশ এর নিচে রেখেছি। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক সঙ্কটের কারণে মূল্যস্ফীতি সাত শতাংশ ছাড়িয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অনেক উন্নত দেশে মূল্যস্ফীতির হার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।