tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আইন আদালত প্রকাশনার সময়: ২৭ অগাস্ট ২০২৩, ১৬:১৪ পিএম

‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ বলা বিচারপতিদের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার দাবি


2

সুপ্রিম কোর্টের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি জানানো হয়েছে।


এসময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা মনে করি আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি যেহেতু শপথ ভঙ্গের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার আইনি ও নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন, তাই প্রধান বিচারপতি স্ব উদ্যোগে তাদের বিচারিক কাজ থেকে বিরত রাখতে পরেন।

রোববার (২৭ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, বর্তমানে কথিত ‘আজানা’ অভিযোগে হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে প্রায় ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিরত রাখা হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতির প্রদত্ত বক্তব্য নৈতিকতার প্রশ্নে কোনো অংশেই কম নয়। তাদের বক্তব্য সরাসরি সংবিধান প্রদত্ত শপথ ভঙ্গের দৃষ্টান্ত। তাই ওই দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত না রাখলে ৪৮ ঘণ্টা পর তাদের পদত্যাগ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এসময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবীদের নতুন সংগঠন ইউনাইটেড ল’ইয়ার ফন্ট্রের সমন্বয়ক ও সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব ও ইউনাইটেড ল’ইয়ার ফন্ট্রের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুইয়া, সাধারণ সম্পদক গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপিপন্থি শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে তৎকালীন আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ একত্রে বিচার কাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান বিনা ভোটের সরকারের রোষাণলে পড়ে বিচারপতি সিনহা দেশত্যাগ ও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। আমরা মনে করি, আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি যেহেতু শপথ ভঙ্গের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার আইনি ও নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন, তাই প্রধান বিচারপতি স্ব-উদ্যেগে তাদের বিচারিক কাজ থেকে বিরত রাখতে পারেন।

এমআই