লেবাননের হামলার ভয়াবহ পরিণতি জানালেন ইসরায়েলি জেনারেল
Share on:
ফিলিস্তিনি ইসরায়েল যুদ্ধের জেরে উত্তপ্ত হচ্ছে দেশটির সঙ্গে লেবাননের সম্পর্ক। দফায় দফায় দুপক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা ঘটেছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে সর্বাত্মক যুদ্ধের। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ওপর হামলার ভয়াবহ পরিণতি জানিয়েছেন ইসরায়েলের মেজর জেনারেল অব আইজ্যাক ব্রিক।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জেরুসালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ইসরায়েলের ওই জেনারেল দেশটির মারিভ পত্রিকায় লেখা সর্বশেষ কলামে তিনি এ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেন।
আইজ্যাক ব্রিক বলেন, হিজবুল্লাহর ওপর হামলার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেওয়া হলে তা ইসরায়েলের জন্য আত্মহত্যার শামিল হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গ্যালিলিতে হিজবুল্লাহ কী করেছে সেদিকে নজর দিলে আমরা দেখব, তারা বসতিগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। হিজবুল্লাহর হামলায় হাজার হাজার একর জমি পুড়ে যাচ্ছে।
আইজ্যাক ব্রিক বলেন, আজ ইসরায়েলের উত্তরে গাজার চিত্র দেখা যাচ্ছে। আয়রন ডোম মাসের পর মাস ধরে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা প্রতিদিন ডজন ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হজম করার জন্য প্রস্তুত হতে পারি না। পরবর্তী যুদ্ধে আমাদের এটি করতে হবে।
ড্রোন মোকাবিলায় ইউক্রেন তাদের কাছ থেকে ইসরায়েলকে শিক্ষাগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। ব্রিক নিজের বক্তব্যে এ বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
ব্রিক বলেন, আমরা যখন একটি স্থানে সেনাবাহিনী রাখতে পারছি না। ফলে ৬টি স্থানে কীভাবে রাখব? আমরা কীভাবে হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র সামাল দিব? নিজেদের সুসংগঠিত হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে অবশ্যই যুদ্ধ থেকে বিরতি দিতে হবে। ২০ বছর ধরে আমরা কেবল যুদ্ধ করে যেতে পারি না। আমাদের সেনাবাহিনীকে এ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা প্রয়োজন।
ইসরায়েলি এ জেনারেল বলেন, সুড়ঙ্গগুলোর ভেতর তারা পুরো পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। জিম্মিদের জন্য আমদের সেখানে এক বা দুই বছরের জন্য যুদ্ধ বন্ধ করা দরকার। আমি বিশ্বাস করি, আমরা থামলে হিজবুল্লাহও থামবে। ফলে আমরা আরও চার ডিভিশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারব।
তিনি আরও বলেন, আজ যারা যুদ্ধ চালাচ্ছে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। তারা লাল বাতির মধ্যেও দৌড়াচ্ছে এবং প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। কিন্তু তারা সেনাবাহিনীকে গড়তে পারছে না।
এনএইচ