দেশে আরও চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
Share on:
দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিতে নতুন করে আরও চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত হয়ে বর্তমানে সেগুলো একনেকে আছে।
বুধবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির (ওএসবি) ৪৯তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়েছে। শেখ হাসিনা বার্নসহ আমাদের নতুন বার্ন ইনস্টিটিউট হয়েছে। তবে আমাদের আরও জনবল প্রয়োজন। আমরা কাজ করছি। উন্নত দেশ হতে হলে অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্য সেবায় ভালো করতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা জনবলের ঘাটতি থাকার কারণে যতগুলো অপারেশন দরকার, ততগুলো করতে পারি না। আমাদের আরও বিশেষজ্ঞ জনবল দরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় দেশ হাজার গুণ এগিয়ে গেছে। প্রাইমারি লেভেলে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। আমাদের ইপিআই কর্মসূচি সারা বিশ্বেই প্রশংসিত হয়েছে। আমরা শতভাগ মানুকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি, যার ফলে মৃত্যুহার কমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাক্সিন হিরো উপাধি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা শিশু-মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে এনেছি। চক্ষু চিকিৎসা সেবায় আমরা অনেকদূর এগিয়ে গেছি। দুটি অত্যাধুনিক ইনস্টিটিউট চালু হয়েছে। চক্ষু চিকিৎসায় বিদেশে যেতে হয় না।
মন্ত্রী আরও বলেন, চক্ষু চিকিৎসাকে আমরা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। ১০০টি উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন করেছি। জনগণ যেন উপজেলাতেই চোখের সব সেবা পায় সে লক্ষ্যে শিগগিরই ৫০০টি উপজেলাতেই আমরা ভিশন সেন্টার স্থাপন করবো। কাঠামো, জনবলসহ সবধরনের যন্ত্রপাতি আমরা দেব।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, দেশে অনেকেই এখনও অন্ধত্ব বরণ করেন ছানির অভাবে। আমরা কর্নিয়া ডোনশন পাই না। লোকজন এগিয়ে আসে না। আমরা আহ্বান করবো এবিষয়ে মানুষ সচেতন হবে। একটি কর্নিয়ার মাধ্যমে মানুষের জীবন পাল্টে যায়।
‘যার চোখ নাই সে সমাজের বোঝা হয়ে যায়। একটি কর্নিয়ার মাধ্যমেই কিন্তু সে চোখের আলো ফিরে পেতে পারে।’
করোনা চিকিৎসায় সফলতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, করোনা চিকিৎসায় অনেক সমালোচনা হয়ছে, কিন্তু আমরা সফলতা পেয়েছি। শয্যা বাড়াতে হয়েছে, ল্যাব ছিল না করতে হয়েছে, জনবল নিয়োগ দিতে হয়েছে। বাংলাদেশ সাড়ে ২৯ কোটি টিকা পেয়েছে, এরমধ্যে ২৬ কোটি টিকা মানুষকে দেওয়া হয়েছে। যার ফলেই আমরা এভাবে উন্মুক্ত প্রোগ্রাম করতে পারছি।
জাহিদ মালেক বলেন, গত এক মাসে একজনও করোনায় মারা যায়নি, এটি খুবই বিরল। আমাদের জিডিপি ৬ শতাংশে আছে। পৃথিবীর কোন দেশে করোনার সার্টিফিকেট দেখাতে হয় না, কারণ তারা জানে বাংলাদেশে করোনা নেই।
‘কিছুদিন আগে জাপানি একটি সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ৫ নম্বর অবস্থানে আছে। ভারত আছে ৭০তম স্থানে, পাকিস্তান ৫০তম স্থানে। প্রধানমন্ত্রী টিকাদানে সরাসরি জড়িত ছিল যখন যা চেয়েছি, তখনই তিনি সেগুলো দর ব্যবস্থা করেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, একসময় স্বাস্থ্য বিভাগকে মানুষ ধোলাই করেছে, এখন প্রশংসা করে। কিছুদিন আগে বিশ্ব ব্যাংকের একটা অনুষ্ঠানে আমাদের তারা জানতে চেয়েছে এতো জনবহুল দেশে কীভাবে বাংলাদেশ সফলতা পেয়েছি। তারা বলেছে, করোনা নিয়ন্ত্রণ ও টিকায় বাংলাদেশ আমেরিকার চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
এমআই